আর্থিক হিসাবরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণের মধ্যে পার্থক্য

আর্থিক হিসাবরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণের মধ্যে পার্থক্য

আপনি আপনার ব্যবসার আর্থিক সাফল্যের জন্য একজন হিসাবরক্ষকের ভূমিকা অস্বীকার করতে পারবেন না। হিসাবরক্ষণের দুইটি সবচেয়ে বড় বিভাগের মধ্যে রয়েছে আর্থিক হিসাবরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ। হিসাবরক্ষণের কিংবা ব্যবসার শিক্ষার্থীরা অবশ্যই জেনে থাকবেন যে এই দুই ধরনের হিসাবরক্ষণের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে আর বাকিরা যারা জানেন না তাদের জন্য আমরা আছি। কারণ আমরা এই আর্টিকেলে আর্থিক হিসাবরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণের মধ্যে পার্থক্য নিয়েই আলোচনা করবো।

আর্থিক হিসাবরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ বলতে আপনি কি বোঝেন?

আর্থিক হিসাবরক্ষণ হচ্ছে হিসাবরক্ষণের প্রধান ধরন যা ব্যবসার লেনদেনগুলো লিপিবদ্ধ করা এবং তথ্যগুলোর সার সংক্ষেপ করে রিপোর্ট বা প্রতিবেদন যেমন: ইনকাম স্টেটমেন্ট বা আয় বিবৃতি, ব্যালেন্স শীট, ক্যাশ ফ্লো স্টেটমেন্ট ,নগদ প্রবাহ বিবৃতি প্রভৃতি তৈরী করাকে অন্তর্ভূক্ত করে। এই প্রতিবেদনগুলোকে পরে বাহ্যিক ব্যবহারকারীদের যেমন: শিল্প নিয়ন্ত্রণকারী, শেয়ার ধারণকারী, বিনিয়োগকারীদের কাছে উপস্থাপন করা হয় যাতে তারা যৌক্তিকভাবে আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাধারণ ভাষায় বললে, আর্থিক ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণের আর্থিক বিষয়গুলো আলোচনা করে।
অপরদিকে ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ হচ্ছে হিসাবরক্ষণের একটি আধুনিক শাখা যা হিসাবরক্ষণের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দিকগুলো আলোচনা করে। ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ ব্যবসার অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপকদের খরচ সংক্রান্ত তথ্যগুলো দেয় এবং বিশ্লেষণ করে যা তাদের পরিকল্পনা তৈরী করতে, ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। যেখানে আর্থিক ব্যবস্থাপনা ব্যবসার বাহ্যিক ব্যবহারকারীদের শুধু সংখ্যাবাচক তথ্য দেয় যাতে তারা ব্যবসার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পেতে পারে; সেখানে ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ ব্যবসার অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপকদের সংখ্যাবাচক এবং গুণবাচক উভয় ধরনের তথ্য দেয় যাতে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং ব্যবসার লাভ বাড়াতে পারে।

উপরের এই সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে আপনারা এই দুই ধরনের হিসাবরক্ষণের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। চলুন এবার আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

আর্থিক হিসাবরক্ষণ বনাম ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ: প্রধান পার্থক্যসমূহ

পার্থক্যসূচক বিষয়আর্থিক হিসাবরক্ষণব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ
১. সংজ্ঞাআর্থিক হিসাবরক্ষণ হচ্ছে হিসাবরক্ষণের প্রধান ধরন যা ব্যবসার লেনদেনগুলো লিপিবদ্ধ করা এবং তথ্যগুলোর সার সংক্ষেপ করে রিপোর্ট বা প্রতিবেদন যেমন: ইনকাম স্টেটমেন্ট বা আয় বিবৃতি, ব্যালেন্স শীট, ক্যাশ ফ্লো স্টেটমেন্ট বা নগদ প্রবাহ বিবৃতি প্রভৃতি তৈরী করাকে অন্তর্ভূক্ত করে।ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ ব্যবসার অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপকদের খরচ সংক্রান্ত তথ্যগুলো দেয় এবং বিশ্লেষণ করে যা তাদেরকে পরিকল্পনা তৈরী করতে, ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
২. উদ্দেশ্যআর্থিক হিসাবরক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট তারিখে ব্যবসার চূড়ান্ত ফলাফলগুলো এবং ব্যবসার আর্থিক অবস্থা প্রকাশ করা।ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ব্যবস্থাপনাকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করা যা প্রধানত, পরিকল্পনা করতে, লক্ষ্য নির্ধারণ করতে এবং এই লক্ষ্যগুলোকে বিশ্লেষণ করতে ব্যবহৃত হয়।
৩.ব্যবহারকারীআর্থিক ব্যবস্থাপনা যে তথ্যগুলো তৈরী করে তা মূলত বাহ্যিক ব্যবহারকারীরা যেমন: শিল্প নিয়ন্ত্রণকারী, শেয়ারধারণকারী এবং বিনিয়োগকারীরা ব্যবহার করেন। তবে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারকারীরাও ব্যবহার করেন।ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ যে তথ্য তৈরী করে তা একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে এর ব্যবস্থাপক এবং কর্মীরা ব্যবহার করেন।
৪.আলোকপাতআর্থিক ব্যবস্থাপনা ইতিহাসের ওপর আলোকপাত করে, পূর্ববর্তী ত্রৈমাসিক বা বছরের প্রতিবেদন করে।ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ বর্তমানের ওপর আলোকপাত করে এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পূর্বাভাস দেয়।
৫.আইনি প্রয়োজনীয়তাআর্থিক হিসাবরক্ষণ প্রতিবেদনগুলো তৈরী করা আইনিভাবে প্রয়োজনীয়।ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ প্রতিবেদনগুলো আইনিভাবে প্রয়োজনীয় না।
৬.তৈরীকৃত বিবৃতির ধরনসাধারণ-উদ্দেশ্য আর্থিক বিবৃতি।বিশেষ-উদ্দেশ্য আর্থিক ‍বিবৃতি।
৭. সেগমেন্ট রিপোর্টিং বা বিভাগ প্রতিবেদনসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানে রিপোর্ট বা প্রতিবেদন ব্যবহৃত হয়। তবে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যা আছে যেগুলো নির্দিষ্ট কিছু ব্যবসায়িক বিভাগের জন্য আলাদাভাবে ব্যবহৃত হয়পৃথক বিভাগসহ সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়।
৮.নিয়মকানুনজিএএপি বা জেনারালি অ্যক্সেপ্টেড অ্যাকাউন্টিং প্রিন্সিপালস বা সাধারণভাবে স্বীকৃত হিসাবরক্ষণ নীতি অনুসরণ করে।কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম মানা হয় না।
৯. কি বিষয়ে প্রতিবেদন করে?শুধু আর্থিক বিষয়ে।আর্থিক এবং অনার্থিক উভয় বিষয়েই।
১০.সময়কালআর্থিক হিসাবরক্ষণ স্টেটমেন্ট বা বিবৃতিগুলো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যেমন: বার্ষিক, অর্ধ-বার্ষিক, ত্রৈমাসিক, প্রভৃতি ভিত্তিতে তৈরী করা হয়।যখন প্রয়োজন, তখনই তৈরী করা হয় যেমন-দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতে।
১১.বিন্যাসআর্থিক হিসাবরক্ষণ প্রতিবেদনগুলো একটি নির্দিষ্ট বিন্যাস অনুসরণ করে। তাই আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহজেই তুলনা করতে পারেন।অনির্দিষ্ট বিন্যাস যা বিভিন্ন বিভাগ বা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরী করা হয়।
১২.প্রকাশনা এবং নিরীক্ষণসংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষক দ্বারা প্রকাশিত এবং নিরীক্ষিত হওয়ার প্রয়োজন আছে।এটা প্রকাশিত বা নিরীক্ষিত হওয়ার প্রয়োজন নেই কারণ এটা শুধু অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য।
১৩.তথ্যআর্থিক এবং যাচাইযোগ্য তথ্য প্রদান করে।আর্থিক এবং ব্যবসার লক্ষ্য চালিত তথ্য প্রদান করে।
১৪.প্রশস্ততাআর্থিক হিসাবরক্ষণের প্রশস্ততা অনেক বড় কারণ এটা সম্পূর্ণ ব্যবসার ওপর লক্ষ্য রাখে।ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণের প্রশস্ততা ছোট কারণ এটা ব্যবসার বিভিন্ন বিভাগের ওপর লক্ষ্য রাখে।
১৫.অন্য নামআর্থিক হিসাবরক্ষণের ইংরেজী নাম হলো ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্টিং এবং এটা এই নামেই পরিচিত।ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণের ইংরেজী নাম হলো ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং, এবং এটা ম্যানেজারিয়াল অ্যাকাউন্টিং নামেও পরিচিত।
১৬.বাধ্যতামূলক/ঐচ্ছিকআর্থিক হিসাবরক্ষণ প্রতিবেদন এবং বিবৃতিগুলো তৈরী করা বাধ্যতামূলক।ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ হলো ঐচ্ছিক।

এই দুই ধরনের হিসাবরক্ষণের মধ্যে মিল

আর্থিক হিসাবরক্ষণের কার্যাবলী

পার্থক্য থাকলেও আর্থিক হিসাবরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণের মধ্যে কিছু মিলও আছে। যেমন:

১. উভয়েই মূল হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থার অংশ।
২. এই দুই হিসাবরক্ষণই অর্থনৈতিক ঘটনাগুলোর খোঁজ রাখে।
৩. প্রতিবেদনগুলো তৈরী করতে আপনার একই ডেটাবেইস বা তথ্যের প্রয়োজন হবে।
৪. উভয়েরই উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক লেনদেন এবং কার্যাবলীর ফলাফলগুলোকে সংখ্যায় পরিণত করা।
৫. এই দুই হিসাবরক্ষণই কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার অবস্থান এবং কর্মক্ষমতা বিশ্লেষণ করে।

আর্থিক হিসাবরক্ষণের প্রধান কাজগুলো নিম্নরূপ:

পদ্ধতিগতভাবে লিপিবদ্ধ করা

একটি বড় ব্যবসার অসংখ্য ব্যবসায়িক লেনদেন থাকে, সেগুলো সব মনে রাখা সত্যিই খুব কঠিন ব্যাপার। তাই এগুলোকে সাধারণভাবে স্বীকৃত হিসাবরক্ষণ নীতি এবং সরকারের নিয়ম  অনুসরণ করে ক্রমানুসারে এবং পদ্ধতিগতভাবে লিপিবদ্ধ করতে হয়।

বৈধতা এবং সত্যতা নিশ্চিত করা

আর্থিক হিসাবরক্ষণ যেহেতু জিএএপি অনুসরণ করে তাই আপনার প্রতিটি হিসাব যা আপনি বিবৃতি বা প্রতিবেদনে ব্যবহার করবেন তা আপনার লেনদেনগুলোতে বৈধতা এবং সত্যতা যোগ করবে।

বিশ্লেষণ এবং সারসংক্ষেপ করা

সব তথ্য পদ্ধতিগতভাবে লিপিবদ্ধ করার পর বিভিন্ন বিবৃতি এবং রিপোর্ট বা প্রতিবেদন তৈরী করে, তা থেকে তথ্য নিয়ে সেগুলোকে বিশ্লেষণ যেমন: আনুপাত বিশ্লেষণ, অনুভূমিক বিশ্লেষণ, উলম্ব বিশ্লেষণ প্রভৃতি সারসংক্ষেপ করে।

ব্যবসা-সংক্রান্ত তথ্য জানানো বা পৌঁছানো

ব্যবসার বাহ্যিক ব্যবহারকারীদের যেমন: বিনিয়োগকারী, শেয়ারধারণকারীদেরকে ব্যবসা-সংক্রান্ত তথ্য জানায় বা পৌঁছে দেয়।

একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা ব্যাখ্যা করা

আর্থিক হিসাবরক্ষণ বিভিন্ন বিবৃতি এবং প্রতিবেদন তৈরী করে যেগুলো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে বিনিয়োগকারী, শেয়ারধারণকারী এবং শিল্প নিয়ন্ত্রণকারীদেরকে স্পষ্ট ধারণা দেয়।

আইনি প্রয়োজনীয়তা মেটানো

আর্থিক হিসাবরক্ষণের টীম বা দলকে আইনি প্রয়োজনীয়তা মেটাতে হয় যেমন: বাহ্যিক নিরীক্ষকদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট আর্থিক বছরে নিরীক্ষণ করা ,দেশের কর আইন এবং ব্যবস্থা অনুযায়ী কর দায় পরিশোধ করা ।

ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণের কার্যাবলী

ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণের প্রধান কাজগুলো নিম্নরূপ:

তথ্য সরবরাহ করা

ব্যবসার ব্যবস্থাপকদের বা ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করার জন্য ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ তথ্যের একটি প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে।

তথ্য পরিবর্তন করা

ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধার জন্য ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ তথ্য শ্রেণীবিন্যাস এবং সংকলিত  করে।

তথ্য বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা করা

কার্যকারী পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করার জন্য তথ্যের গুরুত্বপূর্ণ এবং সাহায্যকারী বিশ্লেষণ করে। এজন্য আপনার ব্যবসার তথ্যকে ব্যাখ্যামূলকভাবে বিন্যাসে উপস্থাপন করতে হবে। এজন্য কিছু ধারা নির্ধারণ করা হয় এবং অনুপাতও হিসাব করা হয়।

গূণবাচক তথ্য প্রদান করা

আর্থিক হিসাবরক্ষণের মতো ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ শুধু আর্থিক তথ্য দিয়ে ব্যবস্থাপকদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে না বরং এটা সেই সব তথ্যকে অন্তর্ভূক্ত করে যেগুলোকে কোম্পানির কর্মক্ষমতা আরও ভালোভাবে বুঝতে আর্থিকভাবে পরিমাপ করা যায়।

ব্যবসার বা কোম্পানির কর্মক্ষমতা প্রকাশ করা

ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ পরিকল্পনা,পূর্বাভাস, ধারা প্রভৃতির মাধ্যমে ব্যবসা বা কোম্পানির কর্মক্ষমতা প্রকাশের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

শেষ কথা:

আশা করি, উপরের আলোচনা থেকে আর্থিক হিসাবরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণের মধ্যে পার্থক্য কি তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনার ব্যবসার আর্থিক হিসাবরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হিসাবপাতি অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন যা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন বিনামূল্যে বা সাশ্রয়ী প্যাকেজে। 
শুভ কামনা রইল!

Search
সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
আজই আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অনলাইন বা অফলাইনে যেকোন জায়গা থেকে সহজেই আপনার দৈনন্দিন ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালনা করুন।