ছোট ব্যবসার খরচ কমিয়ে লাভ বাড়াবেন কীভাবে?

ছোট ব্যবসার খরচ কমিয়ে লাভ বাড়াবেন কীভাবে

এই ব্লগে যা থাকছে-

একটি ছোট বা মাঝারি ব্যবসা পরিচালনা করতে ক্রয়-বিক্রয়, নগদ-বাকি, লাভ-ক্ষতি ইত্যাদি হিসাবের সাথে ব্যবসার খরচ বা ব্যয়ে নজর রাখা জরুরি। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী তাদের দৈনন্দিন লেনদেন আর লাভ-ক্ষতির হিসাব সামলাতে গিয়ে ব্যবসার ছোটখাটো খরচের দিকে নজর রাখেন না! কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ছোট ব্যবসার খরচে গুরুত্ব কম দেয়ার কারণে বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বৃহৎ ক্ষতির মুখে পড়েন এবং ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হন! তাহলে করণীয় কী?
উত্তর সহজ, ছোট ব্যবসার খরচের গলায় লাগাম দিতে হবে! ব্যবসার সকল হিসাবপাতি রাখতে আপনাকে ঝানু হিসাবী হতে হবে। ব্যবসা পরিচালনা করতে খরচের হিসাবনিকাশ রেকর্ড করতে হবে। এতে করে আপনি সহজেই খরচ বা ব্যয়ের গলায় ঘন্টা পরাতে পারবেন! মানে, আপনি ব্যবসার বিভিন্ন খাতের ব্যয় বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় কাটছাঁট করতে পারবেন। ফলে ছোট ব্যবসার খরচ কমিয়ে লাভ বাড়াতে পারবেন বা সামগ্রিক খরচে লাগাম টানতে পারবেন!

এখন ব্যবসাকে টেকসই করতে এবং অধিক লাভের দেখা পেতে আপনাকে অবশ্যই খরচের দুষ্টু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বা লাগাম পরাতে হবে! এই কঠিন যাত্রায় আপনার 

প্রথম প্রশ্ন হওয়া উচিত- ব্যবসার খরচের গলায় ঘন্টা বাঁধবেন কেনো?

দ্বিতীয় পশ্ন হওয়া উচিত- ব্যবসার খরচের গলায় ঘন্টাটি বাঁধবে কে?

তৃতীয় প্রশ্ন হওয়া উচিত- ব্যবসার খরচের গলায় ঘন্টাটি বাঁধবেন কীভাবে?

একটি একটি করে সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো। তবে সবার আগে দেখে নেই ব্যবসায় খরচ বা ব্যয় বলতে আমরা কী বুঝি?

ব্যবসায়িক ব্যয় বা খরচ কী?

একটু কেতাবি ভাষায় বললে, একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যখন কোনো পণ্য সংগ্রহ বা সেবা গ্রহণের বিনিময়ে অর্থ ত্যাগ করে তখন তাকে ব্যবসায়িক ব্যয় বলা হয়। টাকায় পরিমাপযোগ্য এই ত্যাগ সংঘটিত হয়ে গেছে বা কোনো বস্তু বা কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে অরোপিত হবে। তাই বলা হয়ে থাকে, ব্যয় স্বল্পকালীন কিংবা দীর্ঘকালীন উভয়ই হতে পারে এবং ব্যয় সব সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ একটি বিষয়- যা আয় হতে বাদ দেওয়া হয়। (তথ্যসূত্র- ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)

যদিও হিসাববিজ্ঞানের ভাষায় ব্যয় ও খরচের মধ্যে সামান্য ফারাক আছে, তবে ব্যবহারিক ভাষায় দুটো শব্দের পার্থক্য নেই বললেই চলে। তাই সহজ কথায়,ব্যবসায়িক ব্যয় হলো ব্যবসা পরিচালনার খরচ, যা কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি আয়ের উদ্দেশ্যে করে। অর্থাৎ, একটি ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে যেসকল খরচ করা হয় সেগুলোকে ব্যবসায়িক ব্যয় বা খরচ বলা হচ্ছে। যেমন- ব্যবসা পরিচালনায় মার্কেটিং বা বিপনণ খরচ, বিজ্ঞাপণ খরচ, মালামাল ক্রয় ও মজুদ খরচ, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন সেবার মাসিক বা বাৎসরিক বিল, দোকান বা গোডাউন ভাড়া, ট্যাক্স, ডেলিভারি চার্জ, কর্মীদের বেতন, যাতায়াত বা যোগাযোগ ব্যয়, ব্র্যান্ডিং খরচ ইত্যাদি। 

ব্যবসায়িক খরচ বা ব্যয় কী, তা নিশ্চয়ই অনেকটা পরিষ্কার এখন। তাহলে চলুন এবার আমরা প্রথম প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্ঠা করি। 

ছোট ব্যবসার খরচের গলায় ঘন্টা বাঁধবেন কেন?

একটু ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন, আপনি কিন্তু ব্যবসার ব্যয় বা খরচের গলা চেপে ধরছেন না! আপনি শুধু ব্যবসার ব্যয় বা খরচের গলায় একটি ঘন্টা বেঁধে দিচ্ছেন! যাতে করে আপনি ব্যয়ের হিসাবের উপর নজর রাখতে পারেন এবং প্রয়োজন মতো ব্যয় বা খরচের লাগাম টানতে পারেন। সোজাসাপ্টা কথায়, আপনার ব্যবসার ব্যয়ে আপনার নিয়ন্ত্রণ আনার বা রাখার চেষ্টা করছেন। প্রশ্ন হলো, কেনো ছোট ব্যবসার খরচ-এ নিয়ন্ত্রণ আনাটা জরুরি?

এক টাকা খরচ বাঁচানো মানে এক টাকা মুনাফা!

প্রায়শই এই কথাটি শুনে থাকবেন, আপনি যদি ব্যবসা পরিচালনায় এক টাকা খরচ বাঁচান তাহলে আপনি এক টাকা লাভ করলেন! অনেকেই স্কুল বা কলেজে পড়ার সময় শিক্ষকদের কাছে এই কথাটি শুনে থাকবেন। এই কথাটি কিন্তু পুরোপুরি সঠিক এবং প্রমাণিত!

আপনি একজন ছোট বা মাঝারি ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যবসা পরিচালনায় যে খরচ করেন সেটার অনুপাতেই তো আপনার মুনাফা নির্ধারিত হয়। তাই আপনাকে জানতে হবে, ছোট ব্যবসার খরচ কমিয়ে লাভ বাড়াবেন কীভাবে? আপনি যদি আপনার ব্যবসার খরচের কোনো খাত থেকে কিছু টাকা বাঁচাতে পারেন তাহলে সেই টাকা আপনার মুনাফায় যোগ হবে!

ধরুন, আপনি আগে যে পাইকারি বাজার থেকে মালামাল ক্রয় করতেন সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া বাবদ খরচ হতো ২০০০ টাকা। যেটা আপনার সেলসম্যান বা ম্যানেজার ঠিক করতো। এখন আপনি নিজেই একদিন তদারকি করে ভাড়াটা ২০০ টাকা কমিয়ে ফেলতে পারলেন। এর মানে আপনার মুনাফায় ২০০ টাকা যোগ হলো!

ছোট ব্যবসার খরচ বা ব্যয় কি আপনার নিয়ন্ত্রণে?

ব্যবসা করলে ব্যয় থাকবে, এটা চিরন্তন সত্য। কিন্তু ব্যয়ের উপর আপনার নিয়ন্ত্রণ বা কন্ট্রোল আছে কিনা সেটাই এখানে বড় প্রশ্ন। ক্রয়-বিক্রয়, লাভ-ক্ষতি, আয়-ব্যয় আর মার্কেটিংয়ের হিসাব কষতে গিয়ে বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দৈনন্দিন ছোটখাট খরচের হিসাব রাখতে ভুলে যান বা রাখেন না। আর এখানেই ব্যবসার ব্যয়ের উপর একজন ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণহীনতার শুরু!

এই নিয়ন্ত্রণহীনতাই একসময় ব্যবসার মুনাফাতে প্রভাব ফেলবে। ব্যবসার মুনাফা বন্ধ হয়ে যাবে না কিন্তু কমতে থাকবে, ফলে আপনার ব্যবসা দূর্বল হতে থাকবে। একটা সময় লোকসানের মুখও দেখতে হবে এবং টিকতে না পেরে আপনি ব্যবসা থেকে ছিটকে যাবেন! তাই ব্যবসাকে টেকসই করতে হলে অনিয়ন্ত্রিত ব্যয় বা খরচকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি।

ব্যবসায় মুনাফা হচ্ছে তবু টিকে থাকতে পারছেন না!

সবসময় মনে রাখবেন, ব্যবসায় আয়ের সাথে ব্যয়ের সামঞ্জস্যতা থাকাটা জরুরি। কারণ, আপনি যখন ব্যবসায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ব্যয় করছেন বা অপ্রোজনীয় ব্যয় করছেন তখন আপনার প্রতিযোগীরা কিন্তু সেটা করছে না! তারা ব্যবসার খরচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে মুনাফার সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখছে ঠিকই।

ফলে আপনার ব্যবসায় সাময়িক মুনাফা হয়তো হচ্ছে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে আপনি টিকে থাকতে পারবেন না। বাংলাদেশের ৭০-৮০ শতাংশ নতুন ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার ব্যয় বা খরচের হিসাব রাখতে না পারা বা নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারার কারণে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলে! মজার ব্যাপার হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা জানেও না কেনো তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে!

ব্যবসার কোন খাতে কেমন খরচ হচ্ছে জানেন?

হলফ করে বলতে পারি, বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানেন না তাদের খরচের খাত কী কী! আর খরচের খাত বলতে পারলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা সেগুলোর কোনো ট্র্যাক রাখেন না। কারণ, ব্যবসা সামলাতে গিয়ে এতো হিসাব দেখা বা মেইনটেইন করা অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। তার উপর সেটা যদি টালিখাতা ব্যবহার করে রাখা হয় তাহলে তো আরও অসম্ভব!

আর এখানেই আপনাকে নিজের কাছে প্রশ্ন রাখতে হবে- আপনি কি হিসাবে যত্নশীল? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে আমরা পরের প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো।

তাহলে ছোট ব্যবসার খরচের গলায় ঘন্টাটি বাঁধবে কে?

আপনি যদি আপনার ব্যবসার প্রতি যত্নশীল হয়ে থাকেন তাহলে ব্যবসার খরচের গলায় ঘন্টাটি আপনাকেই বাঁধতে হবে হবে! মানে ব্যবসার খরচের বিভিন্ন খাত চিহ্নিত করে সেগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে এবং প্রতিনিয়ত সেগুলো আপডেট করে ট্র্যাক রাখতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো, এই কাজটি আপনি কীভাবে করবেন?

উত্তর হলো, ব্যবসার ব্যয় ব্যবস্থাপনার জন্য আপনার দরকার একটি ভালো মানের হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার। যেটা আপনার ব্যবসার ব্যয় ব্যবস্থাপনা সহ সকল দৈননন্দিন হিসাবের রেকর্ড রাখতে সক্ষম। আর এমনই একটি হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার হলো হিসাবপাতি! যেটা ব্যবসার খরচের গলায় ঘন্টা বাঁধতে আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে কাজ করবে।

এবার তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর খোঁজার পালা-

ছোট ব্যবসার খরচের গলায় ঘন্টাটি বাঁধবেন কীভাবে?

ব্যবসায়িক কোনো সংকট থেকে উঠে আসার প্রধান ও প্রথম পথ হলো ব্যয় সংকোচন নীতি অবলম্বন করা! ব্যয় বা খরচে লাগাম টানতে হলে আপনাকে প্রথমে ব্যবসার খরচের খাতগুলো জানতে হবে এবং সেগুলোর দৈনন্দিন হিসাবে নজর রাখতে হবে। কোন কোন খরচগুলো অপ্রয়োজনীয় বা কোথায় কোথায় বেশি খরচ হচ্ছে সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। আর এই কাজে আপনি ব্যবহার করবেন হিসাবরক্ষণের জন্য সেরা অ্যাপ হিসাবপাতি, যার স্লোগানই হলো- জমাখরচের ডিজিটাল খাতা

হিসাবপাতি অ্যাপটিতে আছে ব্যবসার খরচ ট্র্যাক করার জন্য আলাদা ফিচার। চলুন দেখি, কেনো হিসাবপাতি অ্যাপে রাখবেন ব্যবসার হিসাব এবং অ্যাপটি কীভাবে আপনার ব্যবসার খরচ কমাতে সাহায্য করবে?

ব্যবসার খরচ ট্র্যাকিংয়ের জন্য আছে আলাদা ফিচার

হিসাবপাতি অ্যাপের মোবাইল এবং ওয়েব, দুটো ভার্সনেই ‘খরচ’ নামের একটি ফিচার আছে। এই ফিচারে ক্যাটাগরি ও আইটেম ভিত্তিকভাবে ব্যবসার দৈনন্দিন খরচ রেকর্ড রাখার অপশন আছে। এখানে রাখা খরচের রেকর্ডগুলো দিন, সপ্তাহ, মাস বা নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী দেখার সুবিধা রাখা হয়েছে।চলুন ধাপে ধাপে দেখে নেয়া যাক ‘খরচ’ ফিচারটিতে কীভাবে ব্যবসার খরচ আপডেট করবেন-

হিসাবপাতি’তে প্রতিদিনের ‘খরচ যুক্ত করুন’

অ্যাপের মেন্যু থেকে ফিচার আইকনে ট্যাব করলেই ‘খরচ যুক্ত করুন’ অপশন পেয়ে যাবেন।
  • ‘খরচ যুক্ত করুন’ পেজে প্রথমে আপনাকে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে, তারপর তারিখ ও আইটেম সিলেক্ট করে ব্যবসার খরচ যোগ করতে পারবেন। টাকা পরিশোধের মাধ্যমও সিলেক্ট করার অপশন পেয়ে যাবেন। শেষে যে খরচটি যোগ করলেন সেটির কোনো নোট থাকলে ‘বর্ণনা’ ফিল্ডে যুক্ত করে সেভ করলেই খরচ রেকর্ড হয়ে যাবে।
  • এখানে ক্যাটাগরি হলো আপনার ব্যবসার খরচের বিভিন্ন খাত। আপনি যে যে খাতে প্রতিদিন খরচ করেন সেগুলো ‘খরচের ক্যাটাগরি’ অপশন থেকে বা ক্যাটাগরি অ্যাড করার সময় ‘নতুন ক্যাটাগরি+’ অপশনে গিয়ে অ্যাড করে নিন। যেমন- অফিস পরিচালনা, মাসিক খরচ, মালামাল ক্রয়, কমিউনিকেশন খরচ ইত্যাদি।
  • আইটেম হলো নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা যেটার পেছনে আপনার ব্যয় হলো। যেমন- বিদ্যুৎ বিল, দোকান ভাড়া, গেস্ট নাস্তা, ট্রাক ভাড়া এবং নির্দিষ্ট মালামাল ইত্যাদি। ‘খরচ যুক্ত করুন’ পেজে আইটেম সিলেক্ট করতে গেলেই নতুন আইটেম যোগ করার অপশন পেয়ে যাবেন।
  • এভাবে প্রতিদিনের প্রতিটি খরচ আপনি অ্যাড করতে পারবেন খুব সহজেই। সকল খরচ লিস্ট আকারে দেখতে পারবেন এবং লিস্টের যেকোনো খরচ এডিট এবং ডিলিট করতে পারবেন।
  • রিপোর্টস ফিচারে পাবেন ব্যবসার খরচের সার্বিক রিপোর্ট

    ব্যবসার খরচের যে হিসাবগুলো আপনি প্রতিদিন আপডেট করছেন সেগুলোর একটি সার্বিক রিপোর্ট আপনি পেয়ে যাবেন ‘রিপোর্টস’ ফিচারে। হিসাবপাতি অ্যাপের ‘রিপোর্টস’ নামের ফিচারে ‘খরচের রিপোর্টস’ নামে আলাদা একটি অপশন আছে।
  • এখানে আপনি একটি ক্যাটাগরি ভিত্তিক রিপোর্ট পাবেন।
  • একটি আইটেম ভিত্তিক রিপোর্ট পাবেন।
  • একটি টোটাল রিপোর্টও দেখার সুযোগ পাবেন।
প্রতিটি রিপোর্ট আপনি বিভিন্ন মেয়াদে দেখতে পারেন এবং চাইলে প্রতিটি রিপোর্টের এক্সএল ও পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে পারেন।

ছোট ব্যবসার খরচ এর সঠিক হিসাব রাখা মানেই খরচে লাগাম টানা!

একটি ছোট ও মাঝারি ব্যবসাকে টেকসই করতে ব্যয় ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আপনাকে জানতে হবে ছোট ব্যবসার খরচ কমিয়ে লাভ বাড়াবেন কীভাবে? জমাখরচ, লাভ-ক্ষতি, দেনা-পাওনা, বকেয়া বাকি, মুনাফা ইত্যাদি হিসাবের ভিড়ে ব্যয় বা খরচ অনেক সময় কম গুরুত্ব পায়। এর প্রধান কারণ হলো, ব্যবসার আধুনিক চাহিদা অনুযায়ী যুগোপযোগী উপায়ে ও সঠিক পদ্ধতিতে হিসাব না রাখা। আপনি যদি এখনও টালিখাতা ব্যবহার করে আপনার ব্যবসার হিসাব রাখেন, তাহলে প্রতিদিনের এতো এতো খুঁটিনাটি হিসাব রাখাটা আপনার জন্য প্রায় অসম্ভব।

আর এই অসাধ্য সাধন করতে গিয়েই বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসার খরচ রেকর্ড করেন না! অনেক সময় তো লাভ ক্ষতি ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন! আর এখানেই হিসাবপাতি’র মতো একটি স্মার্ট অ্যাপ্লিকেশনের প্রয়োজন।

কারণ, একটি প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্যবসার সকল হিসাব রেকর্ড হচ্ছে এবং সেগুলোর রিপোর্টও পেয়ে যাচ্ছেন। ফলে আপনি জানেন কোথায়, কেনো এবং কত খরচ হচ্ছে। তাই আপনার জন্য অপ্রয়োজনীয় খরচ বা বিশেষ সময়ে ও কারণে কোনো খাতে খরচ কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়।

তাই হিসাবপাতি’তে ব্যবসার সকল হিসাব রাখুন এবং ছোট ব্যবসার খরচ কমিয়ে মুনাফা বাড়ান! মনে রাখবেন, এক টাকা বাঁচানো মানেই এক টাকা বেশি মুনাফা!

Search
সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
আজই আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অনলাইন বা অফলাইনে যেকোন জায়গা থেকে সহজেই আপনার দৈনন্দিন ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালনা করুন।