একটি মোবাইল ফোন ছাড়া ব্যবসা করার কথা কল্পনা করতে পারেন? অবশ্যই পারেন না। অথচ একটা সময় ছিলো যখন মোবাইল ফোন নামের ইলেকট্রনিক ডিভাইসটি ছাড়াই ব্যবসা করা হতো! এরপর মোবাইল প্রযুক্তির সংযোজন যোগাযোগ ব্যবস্থায় জাদুকরি পরিবর্ত নিয়ে এলো। তখন ব্যবসা পরিচালনায় মোবাইল অপরিহার্য হয়ে উঠলো। এরপর আসলো স্মার্টফোন বা স্মার্ট মোবাইল। এখন একটি স্মার্টফোন ছাড়া যেকোনো ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব! তাই ব্যবসা ছোট হোক কিংবা বড়, আপনাকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ডিজিটাল প্রযুক্তি কীভাবে কাজে লাগাবেন সেটা জানতে হবে। হোক সেটা মুদি দোকান আর হোক সেটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি! আমরা আজকে আলোচনা করবো, মুদি দোকান কি ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার এর ব্যবহার ছাড়া করা সম্ভব? আর মুদি দোকানে ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার ব্যবহার শুরু করলে কীভাবে এবং কোন পর্যায় থেকে শুরু করবেন?
যা থাকছে এই ব্লগে-
মুদি দোকান ডিজিটাল প্রযুক্তির বাহিরে নয়
ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাযাত্রায় আমাদেরকে খাপ খাইয়ে নিতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। একসময় শুধুমাত্র বড় ব্যবসায় প্রযুক্তি ব্যবহার হতো। কিন্তু এখন বড় ব্যবসার পাশাপাশি মুদি ব্যবসার মতো ক্ষুদ্র বা ছোট ব্যবসায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার চলছে সমান তালে। কারণ, পৃথিবী এখন বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ! আর এই বিশ্বগ্রামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সবার জন্য উন্মুক্ত।
কোনো মুদি দোকান তো এই বিশ্বগ্রামের বাহিরে না, তাই না? হতে পারে মুদি দোকানটি শহরের পাড়া-মহল্লার কোনো অন্ধ গলিতে, কিংবা প্রত্যন্ত গ্রামের কোনো বটতলার বাজারে। তাতে আসলে কিছুই যায় আসে না! কারণ, আমরা সকলেই এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি একক সামাজিক ব্যবস্থায় বসবাস করি। এখন হাজার মাইল দূরের কোনো দেশ থেকে কেউ বাংলাদেশের কোনো ছোট ব্যবসা সামলাতে পারেন!
ধরুন, আপনার একটি ছোট বা মাঝারি ব্যবসা আছে, সেটা একটি মুদি দোকান বা গ্রোসারি শপ হতে পারে। এখন আমরা একটু দেখি, আপনার ব্যবসায় প্রযুক্তির ব্যবহারগুলো কেমন হতে পারে-
মুদি দোকান-এ ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার
আপনি আপনার ব্যবসার কাস্টমার ও সাপ্লায়ারদের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ব্যবহার করেন। তাদের কন্টাক্ট নম্বর সেভ করে রাখেন মোবাইলে। মাঝে মাঝে মোবাইলের ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে ক্রয়-বিক্রয় হিসাব করেন। আপনি কমপিউটার বা ল্যাপটপে ডকুমেন্ট ও এক্সএল ফাইলে ব্যবসার হিসাব সংরক্ষণ করতে পারেন।
যদিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মুদি দোকানি বা ব্যবসায়ীদের কমপিউটার ব্যবহারের প্রবণতা খুবই কম। প্রযুক্তির এই ধরনের ব্যবহারগুলোকে আমারা বেসিক ইউজ বা মৌলিক ব্যবহার বলতে পারি। তাই মুদি দোকানে ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারের ব্যবহারকেও আমরা প্রযুক্তির আমারা বেসিক ইউজ বা মৌলিক ব্যবহার বলতে পারি।
মুদি দোকান-এ প্রযুক্তির দ্বিতীয় ধাপের ব্যবহার
এবার আপনি আপনার কাস্টমার ও সাপ্লায়ারদের সাথে তাদের বাকি-বকেয়া ও দেনা-পাওনা নিয়ে যোগাযোগ করছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আপনার দোকানে এসে বকেয়া বাকি পরিশোধ করেন এবং কেউ পাওয়া নিয়ে যান। এই কাজে আপনাকেও তাদের কাছে যেতে হতে পারে।
আর একটা বড় অংশ কিন্তু আপনার মুদি দোকান এ সশরীরে আসবেন না। তাদের সাথে লেনদেনটা আপনাকে মোবাইলের মাধ্যমে বা অনলাইনে করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিং প্রযুক্তির সুবিধা নিতে হবে। মানে আপনার মোবাইলের মাধ্যমেই আপনি যোগাযোগ করলেন এবং লেনদেনও সম্পন্ন করলেন। এটাকে আমরা প্রযুক্তির আরেক ধাপ সামনের ব্যবহার বলতে পারি।
মুদি দোকান-এ প্রযুক্তির তৃতীয় ধাপের ব্যবহার
এবার আপনি আপনার ব্যবসার সকল লেনদেন আরও সহজে এবং ঘরে বসেই করতে চাইছেন।
- মোবাইল ব্যাংকিং: এই ধাপে আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিং প্রযুক্তির পরের ধাপে যেতে হবে! মানে আপনাকে আপনার এক বা একাধিক ব্যাংক এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) এর অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে! যার মাধ্যমে আপনি আপনার সকল লেনদেন ঘরে বসেই সম্পন্ন করতে পারবেন।এখন প্রায় প্রতিটি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জন্য আলাদা অ্যাপ ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়। আর দেশের বেশিরভাগ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) নিজেদের ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (FinTech বা ফিনটেক) কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। তাদের তো অ্যাপ সুবিধা থাকবে এটাই স্বাভাবিক!
- ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার বা একাউন্টিং টুল: এর পাশাপাশি এখন যেকোনো ধরনের হিসাব নিকাশ রাখার জন্য ভালো মানের ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এই ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারগুলো এখন সারা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হচ্ছে এবং অ্যাপগুলো ব্যবহার করে সুফল পাওয়ার বিষয়টিও পরীক্ষিত। আপনি আপনার ব্যবসার ধরন ও সাইজ অনুযায়ী ভালো একটি ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার এ ব্যবসার হিসাব রাখতে পারেন। বাংলাদেশেও এখন সহজ বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ভালো মানের হিসাব রাখার সফটওয়্যার আছে। যেমন- হিসাবপাতি
ব্যবসায় এই ধরনের ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্পৃক্ততা আপনার ছোট ব্যবসাকেও বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যায়। তো, এই সকল আর্থিক প্রযুক্তি বা ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার এর ব্যবহারকে আমরা তৃতীয় ধাপে রাখতে পারি।
মুদি দোকান-এ প্রযুক্তির চলমান সর্বোচ্চ ব্যবহার
এবার আপনি ভাবলেন মুদি দোকান এর ব্যবসার পরিধি আরও বড় করা দরকার। সেই লক্ষ্যে আপনি নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আপনি হয়তো ভাবলেন-
- নতুন কাস্টমার যোগ করা: আপনার এলাকার আরও কিছু নতুন পরিবারকে আপনার মুদি দোকান এর কাস্টমার লিস্টে নিয়ে আসা দরকার।
- নতুন সেবা যুক্ত করা: আপনার মুদি দোকান এ নতুন কিছু সার্ভিস যুক্ত করে আরও কাস্টমার বাড়ুক। যেমন- হোম ডেলিভারি, অনলাইন পেমেন্ট ইত্যাদি।
- নতুন পণ্য যুক্ত করা: নতুন কোনো চাহিদা সম্পন্ন প্রোডাক্ট বা পণ্য রাখা শুরু করলে কাস্টমার বাড়বে। যেমন- মুদি দোকান এর সাথে ফটোকপি মেশিন, স্টেশনারি প্রোডাক্ট, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বা এমএফএস সেবা, বিভিন্ন বিল পেমেন্ট সেবা ইত্যাদি।
- অনলাইন ব্যবসার শুরু: আপনার মুদি দোকান এর ফিজিক্যাল শপ তো আছেই। এবার অনলাইনেও আপনি ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে ভার্চুয়াল দোকানের জন্য আপনাকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন- ওয়েবসাইট বানানো, ফেসবুক সহ অন্যান্য জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য বিজনেস পেজ বানানো, ডিজিটাল মার্কেটিং ও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি।
- তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সামনে এগিয়ে চলা: এর পরেও কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ থেমে নেই। ব্যবসার বিভিন্ন সার্ভিসকে অটোমাইজ করার টেকনোলজি এখন প্রতিনিয়ত আমাদের অবাক করছে এবং সামনের দিনগুলোতেও করবে। এটা চলমান প্রক্রিয়া!
তাই আমরা বলতেই পারি-
এটা শুধু ব্যবসা বাড়ানোর উপায় নয়, এটা টিকে থাকার লড়াই!
এবার আপনি ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন, প্রথম তিনটি ধাপের একটিকেও কি আপনি বর্তমান সময় বিবেচনায় বাদ দিতে পারবেন? একদম না, কোনভাবেই বাদ দেয়া যাচ্ছে না! তাহলে বাকি থাকে শেষ একটি ধাপ, মানে ‘প্রযুক্তির চলমান সর্বোচ্চ ব্যবহার’। এই ধাপে আপনি যে প্রযুক্তি বা টেকনোলজির ব্যবহার করছেন সেগুলো আপনার ব্যবসার পরিধি বাড়াতে বেশি সাহায্য করবে।
তাহলে হিসাব খুব সহজ! আপনি আপনার ব্যবসার পরিধি যদি বাড়াতে নাও চান, তবুও ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার এর মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, প্রথম তিন ধাপের প্রযুক্তির ব্যবহার আপনাকে টিকে থাকার জন্য করতে হবে! আর ব্যবসা না বাড়িয়ে বসে থাকা মানে কিন্তু পিছিয়ে যাওয়া! এটা কে না জানে?
একটি নির্দিষ্ট প্রযুক্তি যেমন- মুদি দোকানে ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার এর ব্যবহার আপনার ব্যবসার গতি বাড়াবে বা মুনাফা বাড়াতে সাহায্য করবে। ব্যাপারটি এখন আর এখানে সীমাবদ্ধ নেই, এখন আপনাকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
ডিজিটাল টেকনোলজির ব্যবহার কোন ধাপ থেকে শুরু করবেন?
এখানে একটু ভাবনার বিষয় আছে, তবে ব্যাপারটা কঠিন নয়। আপনি খেয়াল করে দেখুন-
- প্রথম ধাপের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল টুল বা টেকনোলজিগুলোর বেসিক ব্যবহারের ভেতরে কিন্তু আপনি ইতিমধ্যেই আছেন। যেমন- মোবাইল বা স্মার্টফোন এর মাধ্যমে যোগাযোগ, কমপিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে ডেটা সংরক্ষণ ইত্যাদি। তাহলে প্রথম ধাপ আপনি শেষ করেছেন।
- এবার দ্বিতীয় ধাপে আসি। এই ধাপের প্রয়োজনীয় আর্থিক টেকনোলজিগুলো আপনি ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। যেমন- মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লেনদেন। তাহলে বলা যায়, এই ধাপেও আপনি ইতিমধ্যেই আছেন।
- এবার তৃতীয় ধাপ, এই ধাপের ডিজিটাল টুল বা টেকনোলজিগুলো কি আপনি ব্যবহার করছেন? বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস গুলোর অ্যাপ ব্যবহার করে পূর্ণ সুবিধা নিচ্ছেন? মুদি দোকান এ ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করছেন?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি হ্যাঁ হলে তবেই আপনি পরের ধাপে যেতে পারবেন। মানে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর দিকে যেতে পারবেন। আর কোনো একটির উত্তর যদি না হয়, তাহলে আপনাকে শুরু করতে হবে এই ধাপ থেকে। মানে মুদি দোকান এ ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার এর ব্যবহার আমরা শুরু করতে পারি তৃতীয় ধাপ থেকে। ছোট ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধাপ থেকে শুরু করতে হয়।
ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার দিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করুন
বিভিন্ন আর্থিক সেবা প্রদান করে এমন ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার আপনার ব্যবসা পরিচালনাকে করবে আরও গতিশীল। চলমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসাকে বড় করতে চাইলে এই হাতের মুঠোয় ব্যবসার হিসাব থাকতে হবে। আর এটা নিশ্চিত করবে ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার।
তাহলে দেরি না করে বাছাই করে ফেলুন আপনার মুদি দোকান এর জন্য উপযুক্ত একটি ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার। যেটা আপানার মুদি দোকান ব্যবসার জন্য বেস্ট সল্যুশন দেবে। তাহলে সবার প্রথমে একটি ভালো ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার বাছাই করতে হবে।
কী কী বিষয় বুঝে ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার নির্বাচন করবেন-
- অ্যাপটি মোবাইল ও ওয়েব দুটো ভার্সনেই ব্যবহার করা যায় কিনা?
- মোবাইল অ্যাপেই সকল কাজ সম্পন্ন করা যায় কিনা?
- সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারটি চালানোর সহজ পদ্ধতি ও সহজ ভাষা থাকাটা খুব জরুরি। বাংলা ও ইংরেজি দুটি ভাষাই থাকবে। ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার ব্যবহার করতে যেন আলাদা ট্রেনিং না লাগে!
- ডেটা সিকিউটির পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে কিনা?
- সবচেয়ে বড় কথা, ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারটি আপনার মুদি দোকান এর মতো ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য বিশেষভাবে তৈরি কিনা?
- ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারটির সাবস্ক্রিপশন ফি আপনার হাতের নাগালে কিনা?
- এমন একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার এর সাজেশন দিয়ে রাখতে চাই। আপানার কাজে লাগতে পারে। মুদি দোকান এর হিসাব রাখার জন্য ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারহিসাবপাতি ব্যবহার করুন। এই অ্যাপটিফ্রিতে ডাউনলোড করা যায় এবং এর সাবস্ক্রিপশন ফি আপনার হাতের নাগালে!
প্রযুক্তির সাথে এগিয়ে যান, থেমে থাকবেন না
তাহলে আর থেমে থাকা নয়! মুদি দোকান এ ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার এর মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করুন যেকোনো ধাপ থেকে, আর ব্যবসাকে নিয়ে যান চলমান প্রযুক্তিতে। যাতে করে আপনি প্রতিযোগিতায় টিকেও থাকেন আবার আপনার ব্যবসাটিকে বাড়াতেও পারেন!
আর এটাই হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ম্যাজিক! এটা কখনোই থেমে থাকে না, সবসময় নিজেকে ছাড়িয়ে যায়। এভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তির এক একটি ধাপ আপনাকে আরেকটি ধাপ বা পদক্ষেপের দিকে এগিয়ে দেবে। এটা সবসময় চলমান থাকবে, যেটাকে ইংরেজিতে বলে- ‘Never Ending Process!’