মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনায় প্রযুক্তির ব্যবহার

মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনায় প্রযুক্তির ব্যবহার

এমন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের নাম বলুন, যেটা আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনের প্রতিটি কাজের সাথে কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে আছে? সামান্য একটু ভাবলেই উত্তর পেয়ে যাবেন! ঠিক ধরেছেন, এটা আমাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বা মুঠোফোন বা স্মার্টফোন। যে নামেই ডাকুন, এই মোবাইলই এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী! আর আপনি যদি ৮টা – ৫টা অফিস করা চাকুরিজীবী না হয়ে ব্যবসায়ী হন, তাহলে তো মোবাইল আপানার বিশ্বস্ত সহচরও বটে! কারণ, ব্যবসায় মোবাইল প্রযুক্তি বা টেকনোলজির ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসায়িক নানাবিধ কাজকর্ম সহজে সামাল দেন। মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনায় প্রযুক্তির ব্যবহার এখন ব্যবসায়ীদের কাছে নিত্যদিনের স্বাভাবিক কাজ হয়ে উঠেছে। 

আর এই কারণেই বর্তমানে ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত প্রযুক্তি বা টেকনোলজিগুলো যতটা পারা যায় মোবাইল বান্ধব করে তৈরি করা হয়। সেটা হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার বা অ্যাপ থেকে শুরু করে কৃত্রিম বুদ্ধি (AI), সকল প্রযুক্তি এখন আপনার মোবাইল বান্ধব প্রযুক্তি। তাই আজকের লেখায় আমরা মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনায় প্রযুক্তির ব্যবহারগুলো সম্পর্কে জানবো।

যা থাকছে আজকের ব্লগে-

মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারের অবাক করা কিছু পরিসংখ্যান

মোবাইল ফোন ও মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত কিছু পরিসংখ্যান আপনাকে যেমন অবাক করবে তেমনি এর গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করবে! যেমন-

  • বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮ কোটি বা ১৮০ মিলিয়ন এর বেশি (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের প্রতিবেদন, জুলাই- ২০২৩)।
  • দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ বা ১৩০ মিলিয়ন এর বেশি (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের প্রতিবেদন, জুলাই- ২০২৩)।
  • দেশের এই মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে ১১ কোটি ৯৭ লাখ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, যা মোট ইন্টারনেট গ্রাহকের ৯০.৭৯ শতাংশ (তথ্যসূত্র: দ্য ডেইলি স্টার, ১৩ই অক্টোবর)।
  • দেশে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং এটি দেশের মোট টেলিভিশন ব্যবহারকারীর সংখ্যার চেয়ে বেশি! (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, আইসিটি জরিপ-২০২৩ শীর্ষক প্রতিবেদন)

মোবাইল ফোন ও স্মার্টফোন ব্যবহারের এই প্রবণতা শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য হয়নি। এটির আরেক বড় কারণ মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজিটাল সেবাগুলোর ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

ব্যবসা পরিচালনায় মোবাইল প্রযুক্তি কেনো অপরিহার্য?

যেকোনো ধরনের ব্যবসায় প্রযুক্তি বা টেকনোলজির ব্যবহার হুহু করে বাড়ছে। আর আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোট বা স্মার্টফোন হয়ে উঠেছে এই প্রযুক্তির প্রধানতম ধারক! এর পাশাপাশি ব্যবসাগুলোও এখন পুরোপুরি প্রযুক্তিবান্ধব হয়ে উঠছে। বর্তমান সময়ে অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স দুনিয়া জুড়ে রাজত্ব করছে। বাংলাদেশেও ই-কমার্স ও এর সাথে জড়িত প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রি ঝড়ের গতিতে বড় হচ্ছে!
গতকাল যে ব্যবসায়ী গলির মোড়ে সবজি বা ফল বিক্রি করতেন, তিনি এখন অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কাস্টমার বা ভোক্তাদের পণ্য হোম ডেলিভারি দিচ্ছেন! আবার গতকাল যে ব্যবসায়ী ব্যবসার হিসাব রাখতেন খাতায়, তিনি এখন মোবাইলে হিসবারক্ষণ অ্যাপের মাধ্যমে তার ব্যবসার হিসাবনিকাশ রাখেন। বিশেষ করে ছোট ব্যবসায় পণ্যের কেনাবেচা, প্রচারণা, বিপণন কিংবা মার্কেটিংয়ের জন্য মোবাইল বা স্মার্টফোন হয়ে উঠেছে প্রধানতম হাতিয়ার!
এই বাস্তবতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রতিটি খাতে সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হলে মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। আরও সহজ করে বললে, আপনার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা এবং মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার জানতে হবে। কারণ, ধীরে ধীরে মোবাইল হয়ে উঠছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রবিন্দু! কীভাবে আর কতভাবে আমাদের পকেটে থাকা ছোট্ট ইলেকট্রনিক ডিভাইসটি ছোট বড় ব্যবসা সামলাতে ব্যবহার হচ্ছে, এবার সেটাই জানবো-

ব্যবসা পরিচালনায় মোবাইল বান্ধব বিভিন্ন প্রযুক্তি

আমরা প্রতিদিন মোবাইলের মাধ্যমে যত কাজ করি তার একটি বড় অংশ জুড়ে আছে যোগাযোগ ও আর্থিক কর্মকাণ্ড। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সবচেয়ে সহজ ও গ্রহণযোগ্য হাতিয়ার এই মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনায় প্রযুক্তির ব্যবহারগুলো সাধারণত যেমন হয়-
যোগাযোগ বা কমিউনিকেশন করা, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবসার হিসাব নিকাশ রাখা বা হিসাবরক্ষণ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন বা ফাইন্যান্সিয়াল ট্রানজেকশন, ছবি তোলা, বার কোড বা কিউআর কোড স্ক্যান করা সহ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের নানান জটিল কাজ আপনি একটি স্মার্টফোন দিয়ে খুব সহজেই সামাল দিতে পারেন। চলুন তাহলে, মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনায় প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রধান ৫টি সেক্টর নিয়ে আলোচনা করা যাক।

০১. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে মোবাইল

তথ্যের আদান প্রদান ও যোগাযোগে অভূতপূর্ব এক বিপ্লব সাধিত হয়েছে মোবাইল টেকনোলজির কল্যাণে। প্রত্যন্ত গ্রামের একজন ব্যবসায়ী এখন তার পণ্যের দাম জানতে শহরের যেকোনো ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন যখন তখন। তরুণ উদ্যোক্তারা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের যেকোনো বিজনেস ডেটা এক মুহূর্তেই জানতে পারছে। ফলে দেশে বসেই দেশের বাহিরের ব্যবসা বানিজ্য সম্পর্কে ধারণা নেয়া সহজ হয়েছে।

  • তথ্য খুঁজতে সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার: তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল এখন আপনার পকেটে! গুগলের সাথে আরও আছে ইউটিউব, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি। এইসব সার্চ ইঞ্জিনে যেকোনো বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। চাইলেই ভিডিও দেখে শেখা যায় নানান নতুন দক্ষতা বা স্কিল। যা আপানার ব্যবসায় নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে সাহায্য করছে।আর এই সবকিছুই আপানার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্ভব! লক্ষ্য করে দেখুন, আমাদের চারপাশে এখন অনেক ছোট ব্যবসার উদ্যোগ দেখা যায়। যেগুলোর মূল চালিকা শক্তি মোবাইল প্রযুক্তি।
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ ও ব্যবসা: ফেসবুক, লিংকডইন, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন অবিশ্বাস্য রকমের জনপ্রিয়। বাংলাদেশের প্রায় ৭ কোটি (৬৯.৯৪ মিলিয়ন) সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি (৫৯.০২ মিলিয়ন) ব্যবহারকারী ফেসবুক ব্যবহার করেন (তথ্যসূত্র: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ১৮ই জুলাই- ২০২৩)। লিংকডইন ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন যথাক্রমে ৭০ লাখ ও ৬০ লাখ মানুষ।

এই মাধ্যমগুলো বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের জন্য যতটা ব্যবহার হয় ততটাই ব্যবহার হয় ব্যবসার জন্য। আর কে না জানে, যোগাযোগই হলো ব্যবসার প্রাণ! ফেসবুক বিজনেস পেজের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার ব্যবসা। প্রতি বছরে ৩০০ কোটি টাকার উপরে আর্থিক লেনদেন হয় ফেসবুক কেন্দ্রিক ব্যবসা থেকে। আর এগুলোর বেশিরভাগের মূল চালিক শক্তি হলো মোবাইল ও মোবাইল টেকনোলজি। বোঝাই যাচ্ছে, মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

০২. বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ বা সফটওয়্যারের ব্যবহার

উপরের পরিসংখ্যানে আরেকবার চোখ বোলান, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে ১১ কোটি ৯৭ লাখ শুধু মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, যা মোট ইন্টারনেট গ্রাহকের ৯০.৭৯ শতাংশ! বোঝাই যায়,মোবাইল প্রযুক্তি বা টেকনোলজি কতটা জনপ্রিয়।

  • যোগাযোগের জন্য অ্যাপ: এই মোবাইল কেন্দ্রিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ বা সফটওয়্যার ব্যবহার করেন। যেমন- ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, লিংকডইন ইত্যাদি
  • আর্থিক সেবা প্রদানের অ্যাপ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপগুলোর পরেই আছে আর্থিক সেবা বা ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী অ্যাপ বা সফটওয়্যারগুলোর অবস্থান। এগুলোর মধ্যে আছে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস), মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ, ব্যবসার হিসাব রাখার জন্য হিসাবরক্ষণ অ্যাপ ইত্যাদি।

এছাড়াও আছে বিভিন্ন গ্রাহক সেবামূলক অ্যাপ, পণ্য ডেলিভারি অ্যাপ, মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের জন্য বিশেষায়িত অ্যাপ। তাই সকল অ্যাপই মোবাইল বান্ধব করে তৈরি করা হয়।

০৩. ব্যবসায় মোবাইল পেমেন্ট সল্যুশনের প্রভাব

মোবাইল পেমেন্ট সল্যুশন এখন বিশ্বজুড়ে গ্রহণযোগ্য আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম। সারা বিশ্বে জনপ্রিয় মোবাইল পেমেন্ট সল্যুশনগুলো হলো-

  • পে-প্যাল
  • গুগল পে
  • অ্যামাজন পে
  • অ্যাপেল পে
  • স্কয়ার
  • শপিফাই (Shopify)

বাংলাদেশের জনপ্রিয় মোবাইল পেমেন্ট সল্যুশনগুলো বা মোবাইল ওয়ালেটগুলো হলো-

  • বিকাশ
  • রকেট
  • নগদ
  • এসএসএল কমার্স
  • উপায়
  • আমারপে
  • পেয়নিয়র

মোবাইল পেমেন্টের এই মাধ্যমে গুলো ব্যবসা বানিজ্যের গ্লোবালাইজেশনে ব্যাপক ভূমিক রাখছে। দেশে বসে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় পেমেন্ট এখন সহজেই করা যায়। তাই ব্যবসায় মোবাইল প্রযুক্তির প্রভাব এখন হয়েছে আরও ব্যাপক! এগুলোতে আছে কিউআর কোড পেমেন্ট ও কন্টাক্টলেস পেমেন্ট এর মতো নিরাপদ পেমেন্ট ব্যবস্থা। ছোট ব্যবসায়ীরাও এখন মোবাইল প্রযুক্তির প্রত্যক্ষ সুবিধা ভোগ করছেন।

০৪. ব্যবসায় ডিজিটাল মার্কেটিং ও সোশ্যার মিডিয়া মার্কেটিংয়ের প্রভাব

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মোবাইল বান্ধব হওয়ায় ব্যবসার পালে লেগেছে নতুন হাওয়া! ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসায়ীরাও এখন আর মাইকিং করে ব্যবসার প্রচারণা চালান না! এজন্য তারা বেছে নেন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন টুল। যেমন-

  • এসইও (SEO)
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
  • পে-পার ক্লিক (PPC)
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
  • কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
  • ই-মেইল মার্কেটিং (Email Marketing)
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে ব্যবহার করে বিপণন করা। এগুলো এখন এতটাই জনপ্রিয় যে, কোনো ব্যবসায়ী অনলাইনে ব্যবসা করার কথা ভাবলেই এই ডিজিটাল মার্কেটিং করার প্ল্যান করেন। হোক সেটা ছোট ব্যবসা আর বড় ব্যবসা।

০৫. ব্যবসায় কৃত্রিম বুদ্ধি (AI) ও চ্যাটবট এর ব্যবহার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও চ্যাটবটের সাহায্যে ব্যবসার গ্রাহকদের বিভিন্ন সেবা প্রদান করা এখন অনেক সহজ হয়েছে। যেমন- কাস্টমারদের সাথে ২৪ ঘন্টা যোগাযোগের জন্য চ্যাটবট, সয়ংক্রিয় অর্ডার নেয়া, ইমেইল পাঠানো, মেসেজ পাঠানো সহ কাস্টমার সার্ভিসগুলোকে অটোমাইজ করা।

আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ব্যবসার হিসাবপাতি রাখা থেকে শুরু করে কাস্টমার সার্পোট, পুরোটাই মোবাইল প্রযুক্তি বা টেকনোলজিগুলোর ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালনা করা সম্ভব।
একটি স্মার্টফোন দিয়ে আপনি আপনার ব্যবসার পুরোটাই হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে পারবেন। তাই হিসাবপাতি’র মতো হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার বা অ্যাপ হোক আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) হোক, সকল প্রযুক্তি এখন মোবাইল বান্ধব প্রযুক্তি। তাই মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনায় ডিজিটাল বিভিন্ন টুল ব্যবহার করাটা এখন সময়ের দাবি। ব্যবসা পরিচালনায় একটি হিসাব রক্ষণ অ্যাপ ব্যবহার করে দেখুন, ব্যবসা কতটা সহজ হয়ে যায়! আজই দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং সহজ একাউন্টিং টুল হিসাবপাতি ফ্রিতে ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন এবং ব্যবহার করে পার্থক্য নিজেই যাচাই করুন! 

Search
সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
আজই আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অনলাইন বা অফলাইনে যেকোন জায়গা থেকে সহজেই আপনার দৈনন্দিন ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালনা করুন।