ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার নির্বাচন করবেন কীভাবে?

ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার নির্বাচন করবেন কীভাবে

ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার এখন ব্যবসা পরিচালনার প্রাথমিক চাহিদার একটিতে পরিণত হয়েছে। যেকোনো ব্যবসার হিসাব রাখার জন্য একাউন্টিং বা হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কাছে ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। কারণ, ছোট ব্যবসার দৈনন্দিন হিসাব নিকাশ দেখার জন্য আলাদা কোন টিম থাকে না। ব্যবসায়ীরা নিজেরাই ব্যবসার আয় ব্যয়ের হিসাব রাখেন।

আর এই কাজটি করতেই ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার এর প্রয়োজন পড়ে। আর তখনই প্রশ্ন আসে-

  • ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার নির্বাচন করবেন কীভাবে?
  • দৈনন্দিন হিসাব নিকাশের জন্য কোন ধরনের সফটওয়্যার প্রয়োজন?
  • কমপিউটারের পাশাপাশি মোবাইলে হিসাব রাখার সফটওয়্যার কোনটি?
  • দোকানের হিসাব রাখার সফটওয়্যার ফ্রিতে ব্যবহার করা যায় কিনা?

আমরা আজকের ব্লগে এই ধরনের ‍গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো। মানে, বাংলাদেশে ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার নির্বাচন করার সময় কী কী বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে? ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারে কী কী ফিচার থাকলে সেটা আপনার জন্য উপযোগী?

ব্লগে যা থাকছে-

ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারটির কাস্টমার সাপোর্ট কেমন?

নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার বা অ্যাপ নির্বাচনের শুরুতেই কাস্টমার সাপোর্ট! জ্বি হ্যাঁ, আপনি ব্যবসার হিসাব রাখার জন্য যে অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার নির্বাচন করবেন সেটার কাস্টমার সাপোর্ট টিম কেমন এবং কতটা হেল্পফুল সেটা একটা জরুরি বিষয়! গ্রাহক সেবা প্রদানে তাদের সুনাম থাকলে সহজেই বুঝে নেবেন, অ্যাপটি ব্যবহার করা যায়! প্রয়োজনে-

  • ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারটি ব্যবহার করছে এমন কারো কাছে খোঁজ নিন।
  • অ্যাপটির গ্রাহক সেবা বা কাস্টমার সাপোর্ট টিমে কল করে কথা বলুন।

বাংলাদেশে বর্তমানে বেশকিছু অ্যাকাউন্টিং অ্যাপ আছে। তবে ব্যবসায়ীরা হিসাবপাতি অ্যাপের কাস্টমার সাপোর্ট বা গ্রাহক সেবা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তাই ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার হিসেবে হিসাবপাতি হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ।

অ্যাপটির ডেভেলপার কোম্পানি সম্পর্কে খোঁজ নিন

হ্যাঁ, ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারটির ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের খোঁজ নিতে হবে। এজন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যা জানা উচিৎ-

  • তাদের হেড অফিস কোথায় অবস্থিত?
  • দেশি না বিদেশি প্রতিষ্ঠান?
  • আর কী কী সফটওয়্যার বা আইটি প্রোডাক্ট মার্কেটে আছে?
  • কত বছর যাবৎ আইটি মার্কেটে কাজ করছে?
  • মালিক কে এবং তার ভিসন কী?
  • ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারটি আপডেট হয় কিনা?
  • ফিচার আপডেট হলেও কতদিন পরপর হয়?
  • কোন কোন প্ল্যাটফর্মে তাদের উপস্থিতি আছে?

ইত্যাদি যেসকল খোঁজ খবর সহজেই নেয়া যায় সেগুলো নিতে হবে। মানে, প্রতিষ্ঠানটি কতটা প্রতিষ্ঠিত এবং প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যত লক্ষ্য নিয়ে পরিকল্পনা কী? এগুলোর কিছুটা খোঁজ নিন।

ব্যবসার হিসাব রাখার অ্যাপটি ক্লাউড ভিত্তিক নাকি ডেস্কটপ?

প্রথমে ক্লাউড এবং ডেস্কটপ ভিত্তিক সফটওয়্যারের মধ্যে পার্থক্য জেনে নিন। সহজে বোঝার জন্য এখানে কিছুটা ধারণা দেই।

ক্লাউড ভিত্তিক:
ক্লাউড বেসড মানে হলো ইন্টারনেট ব্যবহার করে ওয়েব সার্ভারে তথ্য ও প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করা। এখানে আপনার ইনপুট করা সকল ডেটা একটি কেন্দ্রিয় সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে। ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারটি আপডেট এবং ডেটা সিঙ্ক করবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এখানে আপনি সকল কাজ অনলাইনে করবেন। ইন্টারনেট হলো ক্লাউড ভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রধান শর্ত।
ডেস্কটপ নির্ভর:
ডেস্কটপ নির্ভর সফটওয়্যার হলে আপনার ব্যবসার সকল ডেটা আপনার কমপিউটারে বা হার্ডড্রাইভে সংরক্ষিত থাকবে। মানে, আপনার ডেটা বা তথ্যের নিরাপত্তা বিধান আপনাকেই করতে হবে। আপনি যেভাবে চাইবেন ঠিক সেভাবেই সফটওয়্যারটি আপডেট করতে পারবেন।

এখন আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, আপনার ব্যবসার দৈনন্দিন হিসাব নিকাশের জন্য কোন ধরনের সফটওয়্যার প্রয়োজন? তবে এখন সকলে ক্লাউড ভিত্তিক ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চান। কারণ, এখানে ডেটা নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান নিয়ে থাকে। হিসাবপাতি একটি ক্লাউডভিত্তিক ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার। এজন্য মোবাইলে হিসাব রাখার সফটওয়্যার হিসেবে হিসাবপাতি খুবই উপযোগী।

ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারটির ফিচারগুলো আপনার ব্যবসার জন্য কতটা কাজের?

আপনি যখন ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার নির্বাচন করবেন তখন এর ফিচারগুলোর দিকে বিশেষ নজর রাখবেন। দেখবেন, আপনার ব্যবসার জন্য অ্যাকাউন্টিং অ্যাপটিতে বিশেষ কী কী ফিচার আছে। ধরুন, আপনি একটি ছোট ব্যবসা করেন। তাহলে দেখতে হবে, অ্যাপটি ছোট ব্যবসার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন বা তৈরি করা কিনা?
সার্বিকভাবে একটি ছোট ব্যবসা বা মাঝারি ব্যবসার জন্য ‍যে ফিচারগুলো অবশ্যই থাকা উচিত-

  • ব্যবসার আয় ও ব্যয়ের হিসাব ট্র্যাক করার সুবিধা
  • ব্যবসার বাকি বকেয়ার হিসাব ট্র্যাক করার সুবিধা
  • ব্যবসার আনলিমিটেড পণ্য ও পার্টি যোগ করার সুবিধা
  • কাস্টমারদের প্রতিটি লেনদেনের ইনভয়েস প্রদান করার সুবিধা
  • পেমেন্টের একাধিক মাধ্যম
  • ক্যালকুলেটর ছাড়াই অটোমেটিক হিসাব করার সুবিধা
  • অনলাইন অফলাইন দুই মোডেই কাজ করার সুবিধা
  • সহজ বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় কাজ করার সুবিধা
  • বিজনেস ডেটার অটো সিঙ্ক সুবিধা
  • ব্যবসার বিভিন্ন পণ্য, পার্টি এবং মেয়াদভিত্তিক রিপোর্ট দেখার সুবিধা
  • মাল্টি ইউজার বা একাধিক ব্যবহারকারী যুক্ত করার সুবিধা
  • একাধিক ব্যবসার পরিচালনা করার সুবিধা
  • পণ্য কেনাবেচায়একাধিক ইউনিট সমস্যার কার্যকরী সমাধান ইত্যাদি।

এক অ্যাপেই ব্যবসার হিসাব ও ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এবং ইনভয়েসিং সাপোর্ট

খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারটিতে ব্যবসার হিসাবের পাশাপাশি ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এবং ইনভয়েসিং সাপোর্ট থাকতে হবে। ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এর জন্য আলাদ অ্যাপ আবার ইনভয়েসিং এর জন্য আলাদা অ্যাপ ব্যবহার করা ঝামেলার এবং ব্যয় সাপেক্ষ্য। তাই ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারটি হতে হবে হিসাবপাতি অ্যাপের মতো! যাতে এক অ্যাপেই মেলে ব্যবসার হিসাব, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এবং ইনভয়েসিং সাপোর্ট।

ব্যবসার ক্রমবর্ধমান চাহিদার অনুযায়ী অ্যাপটির ফিচার আছে কিনা?

এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করার সময় বিষটি মাথায় থাকে না। কিন্তু আপনার ব্যবসা যখন ছোট ব্যবসা থেকে মাঝারি বা বড় ব্যবসায় পরিণত হয়, তখন আপনার প্রয়োজন হয় বিশেষ ফিচারের। যেমন-

  • একাধিক ইউজার অ্যাড করার ফিচার
  • একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করার ফিচার
  • একাধিক ইউনিট সেট করে বেচাকেনা করার ফিচার
  • কাস্টমাইজড ও রেডি ইনভয়েস টেমপ্লেট ফিচার ইত্যাদি।

এসবের বাহিরে, প্রতিনিয়ত ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যারটির ফিচার আপডেট বা উন্নয়ন হওয়াও জরুরি।

মোবাইলে হিসাব রাখার সফটওয়্যার হিসেবে কতটা সহজ ও সাশ্রয়ী?

ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার নির্বাচন করার পূর্বে তিনটি সাধারণ বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, পরে এই ছোট খাটো বিষয়গুলোই আপনার প্রতিদিনের হিসাবরক্ষণের কাজটিকে জটিল করে তুলবে। বিষয় তিনটি হলো-

  • অ্যাপটির ব্যবহারবিধি এবং ইন্টারফেস সহজ
  • অ্যাপটি সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সাশ্রয়ী
  • দোকানের হিসাব রাখার app শুরুতে ফ্রিতে ব্যবহার করার সুযোগ

হিসাবপাতি’র সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা থেকে শুরু

হিসাবপাতি অ্যাপটির সাবস্ক্রিপশন ফি ছোট ব্যবসায়ীদের সামর্থের কথা মাথায় রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে। হিসাবপাতি’র সাবস্ক্রিপশন ফি মাসিক ও বাৎসরিক দুটি মেয়াদে এবং তিনটি সুলভ প্যাকেজে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বেসিক প্যাকেজ:

  • বেসিক প্যাকেজটি সম্পূর্ণ ফ্রি!
  • যারা মোবাইলে ফ্রি অ্যাকাউন্টিং অ্যাপ চালাতে চাইছেন তাদের জন্য সেরা সমাধান।
  • ব্যবসার মৌলিক হিসাবরক্ষণের সকল কাজ পরিচালনা করতে পারবেন।

প্রিমিয়াম প্যাকেজ:

  • মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা।
  • বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে আছে ১৭% ডিসকাউন্ট, ফলে বছরে খরচ পড়বে মাত্র ৯৯৯ টাকা!
  • যারা দোকানের হিসাব রাখার সফটওয়্যার ফ্রিতে ব্যবহার করছেন, তাদের জন্য অল্প দামে সেরা সমাধান।
  • পেশাদার হিসাবরক্ষণের জন্যও উন্নত ফিচার পাওয়া যাবে এই প্যাকেজে।

বিজনেস প্যাকেজ:

  • বিজনেস প্যাকেজর মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ১৯৯ টাকা!
  • বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে প্রিমিয়ামের মতোই আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! তাই এক বছরে খরচ পড়ছে মাত্র ১৯৯০ টাকা!
  • যাদের ব্যবসা অনুযায়ী একটু বিশেষায়িত ফিচার প্রয়োজন তাদের জন্য বিজনেস প্যাকেজ ভালো।
  • বড় ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সাশ্রয়ী সমাধান।

হিসাবপাতি অ্যাপের সকল প্যাকেজের ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আজই বেছে নিন আপনার পছন্দের প্যাকেজটি! কারণ, হিসাবপাতি’র ব্যবহারবিধি এবং ইন্টারফেসটি সাধারণ ইউজারদের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। সাথে ছোট দোকানের হিসাব রাখার app হিসেবে শুরুতে ফ্রিতে ব্যবহার করার সুযোগও রাখা হয়েছে। তাই কোন দ্বিধা ছাড়াই হিসাবপাতি অ্যাপটিকে ব্যবসার হিসাব রাখার সফটওয়্যার হিসাবে নির্বাচন করতে পারেন।

Search
সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
আজই আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অনলাইন বা অফলাইনে যেকোন জায়গা থেকে সহজেই আপনার দৈনন্দিন ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালনা করুন।