কথায় আছে, একটি ভালো শুরু মানে অর্ধেক কাজ শেষ! প্রচলিত এই কথাটি অনেকাংশেই সত্যি। তাই যেকোনো ক্ষুদ্র ব্যবসা বা ক্ষুদ্র উদ্যোগ শুরু করার আগেও কিছু বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়। যাত্রা শুরুর এই সময়ে কিছু সঠিক সিদ্ধান্ত আপনার ব্যবসার সফলতার মূল চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বিশেষ করে, স্টার্টআপগুলোর ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তগুলো অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।
এখানে আমরা আলোচনা করবো, আপনার ক্ষুদ্র ব্যবসা সফল করতে শুরুতেই কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং কীভাবে? সেই সাথে কী করবেন আর কী করবেন না সেটা নিয়েও থাকবে আলোচনা। হিসাবপাতি অ্যাপটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াটিকে কীভাবে সহজ ও কার্যকর করে সে সম্পর্কেও জানবো।
ব্লগে যা থাকছে-
ব্যবসা শুরু করা একজন উদ্যোক্তার জন্য যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনি সম্ভাবনায় ভরপুর! সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিকল্পনা করলে ক্ষুদ্র ব্যবসা সহজেই সফলতার দিকে ধাবিত হতে পারে। বাংলাদেশে হাজারো ক্ষুদ্র ব্যবসা সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে টিকে থাকতে পারে না। তাই আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসা সফল করতে শুরুতেই যে ১০টি সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেগুলো জেনে নেবো-
১. মার্কেট রিসার্চ করে ব্যবসার টার্গেট কাস্টমার নির্ধারণ করুন
যেকোনো ব্যবসার প্রথম ধাপ হলো সঠিক টার্গেট কাস্টমার নির্ধারণ করা। আপনার ব্যবসার পণ্য বা সেবাগুলোর ব্যবহারকারী কারা, তা বুঝতে না পারলে সফলতা অসম্ভব। এজন্য প্রয়োজন বাজার গবেষণা বা মার্কেট রিসার্চ।
আপনার গ্রাহকরা কী ধরনের পণ্য বা সেবা চান, এবং তাদের কেনার ক্ষমতা কেমন, এসব বিষয় নিয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। নতুন পণ্য বাজারে আনার আগে আপনার টার্গেট কাস্টমারের চাহিদা, প্রতিযোগিতা এবং বাজারের সামগ্রিক অবস্থা বিশ্লেষণ করা জরুরি।
তাই, ব্যবসার শুরু থেকে হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার হিসাবপাতি ব্যবহার করতে পারেন। হিসাবপাতি’র সেলস রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে আপনার টার্গেট কাস্টমার সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, হিসাবপাতি অ্যাপের মাধ্যমে আপনি কোন পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে এবং কোন ধরনের কাস্টমার বেশি তা সহজেই বুঝতে পারবেন।
২. একটি বাস্তবসম্মত আর্থিক পরিকল্পনা বা বাজেট তৈরি করুন
আপনার ব্যবসার জন্য একটি বাস্তবসম্মত বাজেট তৈরি করুন। সঠিক বাজেট পরিকল্পনা যে কোনো ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্ষুদ্র ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি বাস্তবসম্মত আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করা অপরিহার্য।
এতে আপনি ব্যবসার প্রাথমিক খরচ, অপারেটিং খরচ, এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের পরিকল্পনা করতে পারবেন। পাশাপাশি আপনি আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং লাভ-ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা করতে পারবেন।
৩. পণ্য বা কাঁচামালের জন্য সঠিক সরবরাহকারী নির্বাচন করুন
ব্যবসার পণ্য বা কাঁচামালের জন্য সঠিক সরবরাহকারী নির্বাচন করা ব্যবসা শুরুর মহা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। পণ্য বা কাঁচামালের মান এবং দামে সঠিক সরবরাহকারী নির্বাচন করতে পারলে ক্ষুদ্র ব্যবসা খুব দ্রুত সফল হতে পারে।
সহজ করে বললে, একটি ব্যবসার সফলতা সরাসরি এর পণ্যের বা কাঁচামালের গুণগত মানের ওপর নির্ভর করে। পাশাপাশি, সঠিক সময়ে পণ্য পাওয়া এবং কম সময়ে ও খরচে সরবরাহ নিশ্চিত করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরুর আগে সঠিক সরবরাহকারী খুঁজে রেব করা জরুরি।
৪. বিক্রয় এবং বিপণন (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) কৌশল নির্ধারণ করুন
বিক্রয় এবং বিপণন কৌশল ব্যবসার মূল চালিকাশক্তি। সঠিক মার্কেটিং বা বিপণন ছাড়া পণ্য বা সেবার সঠিক প্রচার সম্ভব নয়, ফলে টার্গেট কাস্টমারদের কাছে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যায়। এর জন্য আপনাকে আপনার বাজেট, টার্গেট মার্কেট, এবং প্রতিযোগিতার ওপর নির্ভর করে সঠিক কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসার মার্কেটিং ভালো হলে সেলসও বৃদ্ধি পাবে।
৫. প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন
আজকের ব্যবসায়িক জগতে প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া সফল হওয়া প্রায় অসম্ভব। ক্ষুদ্র ব্যবসার ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। ব্যবসার দৈনন্দিন কাজ সহজ করতে এবং সময় বাঁচাতে প্রযুক্তির সহায়তা আপনাকে নিতে হবেই। আপনার ব্যবসার সমস্ত কার্যক্রম ডিজিটালাইজ করতে হবে, যাতে আপনি সহজেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে, হিসাবপাতি অ্যাপটি আপনার ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য একটি চমৎকার বিনিয়োগ হতে পারে। হিসাবপাতি’র মাধ্যমে ব্যবসার আয়-ব্যয়, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, এবং লেনদেনের হিসাব, ইনভয়েস জেনারেট সহ সবকিছুই ডিজিটালভাবে রাখা যায়। আপনার ব্যবসার সময় এবং খরচ কমাতে দেশের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী হিসাবরক্ষণ অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন।
৬. সঠিক কর্মী নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা
ক্ষুদ্র ব্যবসার ক্ষেত্রে সঠিক কর্মী নিয়োগ করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসাতে প্রতিটি কর্মীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই! কর্মী নিয়োগ হয়ে গেলে এখন অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রি বা খুব অল্প খরচে ট্রেনিং কোর্স পাওয়া যায়। সেগুলো থেকে ভালো কিছু কোর্স বাছাই করুন, যা আপনার ব্যবসার সাথে যায়। এবার কর্মীদের সেই কোর্সগুলোতে ভর্তি করে তাদের প্রশিক্ষিত করে তুলুন।
৭. সহজ ও সাশ্রয়ী উপায়ে আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখুন
ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি জটিল কাজ। অনেক সময় সঠিকভাবে হিসাব না রাখার ফলে ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
এক্ষেত্রে হিসাবপাতি অ্যাপ আপনাকে আয়-ব্যয়ের নর্ভুল হিসাব রাখতে সাহায্য করবে। অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি প্রতিদিনের লেনদেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষণ করতে পারবেন। আপনার সময় বাঁচাবে এবং খরচও কমাবে। এছাড়া, হিসাবপাতি’র বিভিন্ন রিপোর্টস দেখে আপনার ব্যবসার আর্থিক অবস্থা বিশ্লেষণ করা সহজ হবে।
৮. চমৎকার গ্রাহক সেবা বা কাস্টমার সাপোর্ট নিশ্চিত করুন
আপনার গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা এবং তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। তাই সফল ব্যবসার জন্য গ্রাহক সেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাহকদের সঠিকভাবে সেবা দিতে না পারলে তারা আপনার সেবা থেকে সরে যাবে এবং আপনার প্রতিযোগীদের কাছে চলে যাবে। তাই দ্রুত এবং কার্যকরী কাস্টমার সাপোর্ট নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
৯. নিয়মিত ব্যবসা পর্যালোচনা করার ব্যবস্থা রাখুন
আপনার ব্যবসার কার্যক্রম নিয়মিত পর্যালোচনা করে আপনি কোথায় উন্নতি করতে পারবেন, তা নির্ধারণ করতে পারেন। ব্যবসার উন্নতি নিশ্চিত করতে ব্যবসা পর্যালোচনা জরুরি। ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং বিক্রয়ের পর্যালোচনা করে বোঝা যায় কোন দিকগুলোতে উন্নতির প্রয়োজন। হিসাবপাতি অ্যাপ এর বিভিন্ন রিপোর্টিং ফিচার ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যবসার প্রতিটি দিক বিশ্লেষণ করতে পারবেন।
১০. নতুন প্রযুক্তিতে ভয় নয়, বরং আপডেট থাকুন
প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং আপনার ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য এই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ। নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যবসার কার্যক্রম সহজ করতে পারেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাই নতুন প্রযুক্তিকে ভয় না পেয়ে বরং সেই সম্পর্কে আপডেট থাকা দরকার। যেমন- নতুন নতুন আপডেট এবং ফিচারের মাধ্যমে হিসাবপাতি অ্যাপটি ব্যবসায়িক প্রযুক্তির সব সুবিধা আপনার সামনে এনে দেয়।
সহজ তিনটি ধাপে হিসাবপাতি’তে যাত্রা শুরু করুন!
- হিসবাপাতি’তে সাইন আপ করুন:
প্রথমেই হিসাবপাতি’র ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ব্যবসার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে হিসাবপাতি অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। হিসাবপাতি’তে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্রি!
- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন:
সাইন আপ করে প্রথমেই মালিক হিসেবে আপনার কোম্পানির প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ব্যবসার প্রোফাইল সেট-আপ করুন। তারপর ইনভেনটরি থেকে শুরু করে ইউনিট, ক্রয়-বিক্রয়, বাকি বকেয়া, ইনভয়েস এবং লেনদেন সহ ব্যবসার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সেট-আপ করুন। এরপর শুরু করুন প্রতিদিনের লেনদেন আপডেট রাখার কাজ।
- হিসাবপাতি’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন:
হিসাবপাতি’তে ব্যবসার হিসাব রাখা শুরু করার পরে, প্রয়োজনীয় এবং ইউনিক ফিচারগুলো ব্যবহার করতে থাকুন। যেমন- ইনভয়েস, বারকোড স্ক্যানার, ইউনিট, ব্যয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। হিসাবপাতি’র ব্যবহারবিধি ও ফিচারের বিস্তারিত বুঝতে ইউটিউবে বাংলায় ডেমো ভিডিও দেখুন।
জমা খরচের ডিজিটাল খাতা- হিসাবপাতি’র ডেমো
হিসাবপাতি’র সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা থেকে শুরু!
হিসাবপাতি বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী হিসাবরক্ষণ অ্যাপ। এর সাবস্ক্রিপশন ফি মাসিক ও বাৎসরিক দুটি মেয়াদে এবং তিনটি সুলভ প্যাকেজে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
- ০১. বেসিক প্যাকেজ: বেসিক প্যাকেজটি সম্পূর্ণ ফ্রি! মানে, আপনি সাবস্ক্রিপশন কেনার আগে ফ্রিতে অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারছেন।
- ০২. প্রিমিয়াম প্যাকেজ: প্রিমিয়াম প্যাকেজের মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা এবং এই প্যাকেজের বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! এতে এক বছরে খরচ পড়বে মাত্র ৯৯৯ টাকা!
- ০৩. বিজনেস প্যাকেজ: বিজনেস প্যাকেজর মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ১৯৯ টাকা। এই প্যাকেজেও বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে প্রিমিয়ামের মতোই আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! তাই এক বছরে খরচ পড়ছে মাত্র ১৯৯০ টাকা!
হিসাবপাতি অ্যাপের সকল প্যাকেজের ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আজই বেছে নিন আপনার পছন্দের প্যাকেজটি! আপনার ব্যবসার জন্য শুভকামনা!