একজন ব্যবসায়ী হিসেবে সঠিক এবং সময়োপযোগী ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সক্ষমতা থাকাটা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরি। কারণ, ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। এটা গুরুত্বপূর্ণ এবং চলমান একটি প্রক্রিয়া, যা আপনার ব্যবসার ধারাবাহিক উন্নতি ও সফলতার পরিচায়কও বটে! আর যেকোন সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রয়োজন সঠিক তথ্য ও সেগুলোর উপযুক্ত বিশ্লেষণ, যা ব্যবসার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তাই আজ আমাদের আলোচনার বিষয়- ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণ কি এবং একে সহজ করবেন কীভাবে?
বর্তমান ডিজিটাল যুগে, একাউন্টিং সফটওয়্যার বা হিসাবরক্ষণ অ্যাপ ব্যবসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে আরও সহজ, কার্যকর ও নির্ভুল করতে সাহায্য করছে। তাই বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কাছে ‘হিসাবপাতি’ অ্যাপটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো, ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণ কি, এর ধাপসমূহ এবং কীভাবে হিসাবপাতি আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সহজ করবে।
ব্লগে যা থাকছে-
ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণ কি?
একদম সোজা কথায়, ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণ (Business Decision-Making) হলো, ব্যবসায়িক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ কিংবা সুযোগের ভিত্তিতে এক বা একাধিক পরিকল্পনা, কৌশল এবং কাজ নির্ধারণের প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে যেমন ব্যবসায় উন্নতি করা যায়, তেমনি ব্যবসার খারাপ সময়েও সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে অধিক মুনাফা বা টিকে থাকার জন্য ঝুঁকি নেয়াও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের মধ্যে পড়তে পারে।
একটি ব্যবসার প্রতিটি ছোট-বড় সিদ্ধান্তই তার সাফল্য বা ব্যর্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণ- পণ্য উৎপাদন, কাঁচামাল সংগ্রহ, বাজারে প্রবেশের কৌশল, খরচ কমানোর উপায়, ইত্যাদি সবগুলোই সঠিক ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর নির্ভরশীল।
ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রথম ধাপ কোনটি?
যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রথম ও প্রাথমিক ধাপটি জানা জরুরি। ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রথম ধাপ হলো, নির্ভুলভাবে সমস্যা চিহ্নিত করা ও তা বিশ্লেষণ করা। এই প্রথম ধাপটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ, সঠিক সমস্যাগুলো নির্ধারণ করা না গেলে সমাধানের প্রক্রিয়াও ভুল পথে চলে যেতে পারে। সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজটিও হয়ে উঠবে কঠিন। তাই প্রথমে সমস্যা চিহ্নিত করুন, তারপর আপনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উপযুক্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন।
- সমস্যা সনাক্ত করুন: এই ধাপে ব্যবসার প্রতিটি সেক্টর পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন করতে হবে।
- তথ্য সংগ্রহ: বিভিন্ন উৎস থেকে ব্যবসার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করতে হবে।
- বিকল্প সমাধান নির্ধারণ: সমস্যার সঠিক সমাধান খুঁজতে বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি ধাপে কী করবেন?
১. তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা
আগেই বলেছি, সঠিক বা নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করে তার উপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণ করাই হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রথম ধাপ। তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্ভরযোগ্য উৎস প্রয়োজন, যেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা সহজ। যেমন- হিসাবপাতি অ্যাপে ব্যবসার হিসাব রাখলে সহজেই একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সকল ডেটা পেয়ে যাবেন। এটি আপনাকে আপনার ব্যবসার আয়-ব্যয়, আর্থিক অবস্থা ও লেনদেন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেবে।
২. বিকল্প সমাধান নির্ধারণ
সমস্যা চিহ্নিত করার পরে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে হবে। সেজন্য দরকার পড়বে বিকল্প সমাধান। ধরুন, আপনার হাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিভিন্ন বিকল্প আছে, তাহলে সেই সময়ে ব্যবসার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্তটি নির্বাচন করতে হবে। যেমন- যদি উৎপাদন খরচ কমাতে চান, তাহলে বিভিন্ন বিকল্প সমাধান পর্যালোচনা করে দেখুন কোনটি আপনার জন্য সঠিক হবে। সঠিক বিকল্প নির্ধারণ করাও সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
হিসাবপাতি অ্যাপ ব্যবহার করলে বিকল্প মূল্যায়নে সহায়তা পাওয়া যায়। কারণ, অ্যাপটি আপনার ব্যবসার সকল আর্থিক কার্যক্রম ও লেনদেন রেকর্ড রাখে। যেগুলো আপনি সহজেই দেখতে ও বিশ্লেষণ করতে পারেন।
৩. পরিকল্পনা তৈরি করা
আপনি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেয়ার মূল কাজটি সম্পন্ন করেছেন। এবার সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করার পালা। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। পরিকল্পনায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের পরামর্শ নিতে হবে। পারলে কিছু বাস্তব উদাহরণ দেখে বা জেনে নিতে পারেন।
৪. সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ করা
এবার শেষ কাজটি করুন। মানে, পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে কী না, তা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। এতে করে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেটার কার্যকারিতা জানা যাবে। যদি সেটা ভালো ফল দেবে না বুঝতে পারেন তাহলে প্রয়োজনে তা পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেয়া যাবে।
হিসাবপাতি কীভাবে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে?
একটি একাউন্টিং সফটওয়্যার ব্যবসায়িক বিভিন্ন তথ্যকে ডিজিটালি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করতে পারে। হিসাবরক্ষণ অ্যাপ সঠিক তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং বিশ্লেষণে সহায়তা করে, যা সঠিক ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই হিসাবপাতি অ্যাপটিও আপনাকে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করতে পারে-
১. বিক্রয় ও লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ
হিসাবপাতি আপনার ব্যবসার প্রতিটি লেনদেন রেকর্ড করবে এবং পরে সেগুলো বিশ্লেষণ করে ব্যবসার সঠিক আর্থিক অবস্থা বোঝা যায়। এই তথ্যগুলো আপনার সিদ্ধান্তকে আরও পরিকল্পিত করতে সহায়তা করবে।
২. খরচ নিয়ন্ত্রণ ও বাজেট তৈরি
আপনার ব্যবসার খরচ বাজেট অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিসাবপাতি একটি কার্যকর টুল হতে পারে। এটি খরচের নির্দিষ্ট বিভাগ চিহ্নিত করে সেখানে বাজেট বরাদ্দ করার সুযোগ করে দেয় এবং খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩. অর্থপ্রবাহ বা ক্যাশ-ফ্লো ম্যানেজমেন্ট
অর্থপ্রবাহ বা ক্যাশ ফ্লো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক যা ব্যবসার লাভ-ক্ষতির হিসাব ও বর্তমান অবস্থা বুঝতে সহায়তা করে। হিসাবপাতি ব্যবহার করলে আপনি আপনার বর্তমান অর্থপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের অর্থপ্রবাহের ক্ষেত্র নির্ধারণ করতে পারেন। এই বিশ্লেষণগুলো ভবিষ্যতের আর্থিক পরিকল্পনা করতে সহায়তা করবে।
৪. বিক্রয় ও মুনাফা সহ বিভিন্ন রিপোর্ট
আপনার ব্যবসার বিক্রয় ও মুনাফার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে হলে হিসাবপাতি’র রিপোর্টস বেশ সহায়ক হতে পারে। এতে করে ব্যবসার পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে পারবেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে পারবেন।
৫. আর্থিক প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণ
হিসাবপাতি বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে সহায়তা করে। যেমন- লাভক্ষতির হিসাব, ব্যালেন্স শিট, ইত্যাদি। এসব রিপোর্টের মাধ্যমে আপনি আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে গভীর ধারণা পাবেন, যা ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেওয়াকে আরও সহজ করবে। ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণ কি এবং এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন-
হিসাবপাতি’র রিপোর্টস: ব্যবসার রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেয়ার উপায়
সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সহজ করার জন্য ‘হিসাবপাতি’
বুঝতেই পারছেন, হিসাবপাতি এমন একটি অ্যাপ যা আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি ধাপ সহজ ও নির্ভুল করতে সাহায্য করে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিটি লেনদেন রেকর্ড করে এবং আর্থিক রিপোর্ট জেনারেট করে। তাই হিসাবপাতি অ্যাপের সাহায্যে এই প্রক্রিয়াটি সহজ, দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করুন। তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে বিশ্লেষণ এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে হিসাবপাতি’র সাপোর্ট নিন।
সহজ তিনটি ধাপে হিসাবপাতি’তে যাত্রা শুরু করুন!
- হিসবাপাতি’তে সাইন আপ করুন:
প্রথমেই হিসাবপাতি’র ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ব্যবসার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে হিসাবপাতি অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। হিসাবপাতি’তে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্রি!
- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন:
সাইন আপ করে প্রথমেই মালিক হিসেবে আপনার কোম্পানির প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ব্যবসার প্রোফাইল সেট-আপ করুন। তারপর ইনভেনটরি থেকে শুরু করে ইউনিট, ক্রয়-বিক্রয়, বাকি বকেয়া, ইনভয়েস এবং লেনদেন সহ ব্যবসার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সেট-আপ করুন। এরপর শুরু করুন প্রতিদিনের লেনদেন আপডেট রাখার কাজ।
- হিসাবপাতি’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন:
হিসাবপাতি’তে ব্যবসার হিসাব রাখা শুরু করার পরে, প্রয়োজনীয় এবং ইউনিক ফিচারগুলো ব্যবহার করতে থাকুন। যেমন- ইনভয়েস, বারকোড স্ক্যানার, ইউনিট, ব্যয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। হিসাবপাতি’র ব্যবহারবিধি ও ফিচারের বিস্তারিত বুঝতে ইউটিউবে বাংলায় ডেমো ভিডিও দেখুন।
জমা খরচের ডিজিটাল খাতা- হিসাবপাতি’র ডেমো
হিসাবপাতি’র সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা থেকে শুরু!
হিসাবপাতি বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী হিসাবরক্ষণ অ্যাপ। এর সাবস্ক্রিপশন ফি মাসিক ও বাৎসরিক দুটি মেয়াদে এবং তিনটি সুলভ প্যাকেজে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
- ০১. বেসিক প্যাকেজ: বেসিক প্যাকেজটি সম্পূর্ণ ফ্রি! মানে, আপনি সাবস্ক্রিপশন কেনার আগে ফ্রিতে অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারছেন।
- ০২. প্রিমিয়াম প্যাকেজ: প্রিমিয়াম প্যাকেজের মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা এবং এই প্যাকেজের বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! এতে এক বছরে খরচ পড়বে মাত্র ৯৯৯ টাকা!
- ০৩. বিজনেস প্যাকেজ: বিজনেস প্যাকেজর মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ১৯৯ টাকা। এই প্যাকেজেও বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে প্রিমিয়ামের মতোই আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! তাই এক বছরে খরচ পড়ছে মাত্র ১৯৯০ টাকা!
হিসাবপাতি অ্যাপের সকল প্যাকেজের ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আজই বেছে নিন আপনার পছন্দের প্যাকেজটি! আপনার ব্যবসার জন্য শুভকামনা!