নতুন ব্যবসা শুরু করেই অতি প্রত্যাশা কিংবা কম প্রত্যাশা, কোনটাই ব্যবসার জন্য ভালো নয়। নতুন ব্যবসা শুরু করে লাভবান হতে হবেই, এটা অতি প্রত্যাশা। আবার নতুন ব্যবসায় লাভবান হওয়া যায় না, এটাও ভুল। আপনাকে ব্যবসা থেকে মুনাফা বের করতে হবে বা লাভবান হতে হবে, এটা সাধারণ একটি প্রত্যাশা। এটা মাথায় রেখেই আপনাকে নতুন ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি নিতে হবে। এজন্য নতুন ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি নেয়ার সময় ব্যবসা করার টিপস বা কৌশল জেনে রাখা ভালো।
এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো, নতুন ব্যবসায় লাভবান হওয়ার কিছু কার্যকরী কৌশল। পাশাপাশি জানবো, হিসাবপাতি অ্যাপের ব্যবহার করে কীভাবে আপনার ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব সহজ করবেন?
ব্লগে যা থাকছে-
নতুন ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি : প্রাথমিক ধাপ
যেকোনো নতুন ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি নেয়ার সময় আপনাকে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কিছু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়। এরপরে সেই সিদ্ধান্ত এবং চ্যালেঞ্জগুলো বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করতে হয়। সঠিক পরিকল্পনা, নির্ভুল হিসাব-নিকাশ, এবং কার্যকরী কৌশলই আপনার নতুন ব্যবসাকে সফলতার পথে নিয়ে যায়। তাই যেকোনো ব্যবসার সফলতার জন্য প্রথম ধাপটি হলো যথাযথ প্রস্তুতি। নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি-
১. সঠিক বা সময়োপযোগী ব্যবসার আইডিয়া নির্বাচন করুন
আপনার দক্ষতা, আগ্রহ এবং এলাকাভিত্তিক চাহিদার উপর ভিত্তি করে সঠিক ছোট ব্যবসার আইডিয়া বেছে নিতে হবে। যেমন- আপনি যদি অনলাইনে বা অফলাইনে কোনো প্রোডাক্ট বিক্রিতে আগ্রহী হন, তাহলে বাজারে সেই পণ্যের বর্তমান চাহিদা এবং প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণ করে নতুন ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি নিন। এই বিষয়ে আরও জানতে পড়ুন-
৪টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া: শুরু করলেই বাজিমাত!
২. ব্যবসার জন্য সার্বিক পরিকল্পনা তৈরি করুন
বিনিয়োগ থেকে শুরু করে পণ্য বিক্রি, মার্কেটিং এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখার পদ্ধতি পর্যন্ত একটি বিস্তারিত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন। একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা ছাড়া নতুন ব্যবসা শুরু করা যাবে না। এই পরিকল্পনাটি আপনাকে পথ হারাতে দেবে না! এই বিষয়ে আরও জানতে-
ক্ষুদ্র ব্যবসা সফল করতে শুরুতেই যে সিদ্ধান্তগুলো নিতে হবে
৩. পণ্যটির বাজার গবেষণা করুন
নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে বাজার গবেষণা বা মার্কেট রিসার্চ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন পণ্য বা সেবার বেশি চাহিদা, প্রতিযোগীদের অবস্থান এবং সম্ভাব্য ক্রেতাদের কেনার ক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে।
৪. ব্যবসার জন্য বাস্তবসম্মত একটি বাজেট তৈরি করুন
নতুন ব্যবসার জন্য বাজেট তৈরির কাজটি নিখুঁত হতে হবে। কারণ, আপনি বাজেট অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে ব্যবসার ক্যাশ ফ্লো নিয়ন্ত্রণ করবেন। এই কাজে হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার ‘হিসাবপাতি’ আপনাকে সাহায্য করবে। ব্যবসার বাজেট নিয়ে আরও পড়ুন-
ব্যবসার বাজেট কেনো গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে শুরু করবেন?
ব্যবসা করার টিপস এবং লাভবান হওয়ার কৌশল
নতুন ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি নেয়ার সময় এই বিষয়গুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনি নতুন ব্যবসা শুরু করেই দ্রুত লাভবান হতে পারবেন।
১. খরচ কমিয়ে লাভ বাড়ান
নতুন ব্যবসার শুরুতে অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে চলুন। ছোটখাটো বিষয়গুলোর দিকে নজর দিন, যেমন- অফিস সজ্জা বা প্রচার-প্রচারণার খরচ ইত্যাদি। আপনি বরং পণ্যের গুণগত মান উন্নত করার জন্য বিনিয়োগ করুন।
২. আয়-ব্যয়ের নির্ভুল হিসাব রাখুন
বিনিয়োগ এবং আয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। একাউন্টিং অ্যাপ ব্যবহার করে আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা সহজ হয়। অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবসার বিভিন্ন রিপোর্ট তৈরি করবে এবং আর্থিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।
৩. গ্রাহকের চাহিদা বুঝুন
আপনার ক্রেতা বা গ্রাহকরা কী চান তা বোঝার চেষ্টা করুন এবং সেই অনুযায়ী পণ্য বা সেবা সরবরাহ করুন। যদি আপনার গ্রাহকরা কম দামে মানসম্পন্ন পণ্য চান, তবে সেদিকেই নজর দিতে হবে। বিক্রি বাড়াতে হলে ক্রেতাকে খুশি করতে জানতে হবে।
৪. প্রযুক্তি ব্যবহার করুন
বর্তমান যুগে ব্যবসা পরিচালনা কিংবা সফল করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। হিসাবরক্ষণ থেকে শুরু করে স্টক/ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত সবকিছু সহজ করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করুন। হিসাবপাতি অ্যাপ এখানে আপনার নির্ভরযোগ্য সহযোগী। সাথে বিক্রয় ও বিপণনে প্রযুক্তিনির্ভর টুলের ব্যবহার বাড়াতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং, সেলস এবং পণ্য ডেলিভারিতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখুন
আপনার ব্যবসার সকল লেনদেনের বিস্তারিত রেকর্ড রাখুন, যা আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। আপনার মাসিক বা বার্ষিক আয় ব্যয়ের রিপোর্ট ট্র্যাক করুন। আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারলে ব্যবসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও নির্ভুল হয়।
এই পাঁচটি সাধারণ ও সহজ টিপস মেনে চলুন, দেখবেন ব্যবসা নতুন হলেও লাভবান হতে পারছেন। পাশাপাশি, নতুন ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি নেয়ার সময় ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস রাখুন। সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকরী কৌশল আপনাকে সফল করবে।
সহজ তিনটি ধাপে হিসাবপাতি’তে যাত্রা শুরু করুন!
- হিসবাপাতি’তে সাইন আপ করুন:
প্রথমেই হিসাবপাতি’র ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ব্যবসার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে হিসাবপাতি অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। হিসাবপাতি’তে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্রি!
- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন:
সাইন আপ করে প্রথমেই মালিক হিসেবে আপনার কোম্পানির প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ব্যবসার প্রোফাইল সেট-আপ করুন। তারপর ইনভেনটরি থেকে শুরু করে ইউনিট, ক্রয়-বিক্রয়, বাকি বকেয়া, ইনভয়েস এবং লেনদেন সহ ব্যবসার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সেট-আপ করুন। এরপর শুরু করুন প্রতিদিনের লেনদেন আপডেট রাখার কাজ।
- হিসাবপাতি’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন:
হিসাবপাতি’তে ব্যবসার হিসাব রাখা শুরু করার পরে, প্রয়োজনীয় এবং ইউনিক ফিচারগুলো ব্যবহার করতে থাকুন। যেমন- ইনভয়েস, বারকোড স্ক্যানার, ইউনিট, ব্যয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। হিসাবপাতি’র ব্যবহারবিধি ও ফিচারের বিস্তারিত বুঝতে ইউটিউবে বাংলায় ডেমো ভিডিও দেখুন।
জমা খরচের ডিজিটাল খাতা- হিসাবপাতি’র ডেমো
হিসাবপাতি’র সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা থেকে শুরু!
হিসাবপাতি বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী হিসাবরক্ষণ অ্যাপ। এর সাবস্ক্রিপশন ফি মাসিক ও বাৎসরিক দুটি মেয়াদে এবং তিনটি সুলভ প্যাকেজে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
- ০১. বেসিক প্যাকেজ: বেসিক প্যাকেজটি সম্পূর্ণ ফ্রি! মানে, আপনি সাবস্ক্রিপশন কেনার আগে ফ্রিতে অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারছেন।
- ০২. প্রিমিয়াম প্যাকেজ: প্রিমিয়াম প্যাকেজের মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা এবং এই প্যাকেজের বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! এতে এক বছরে খরচ পড়বে মাত্র ৯৯৯ টাকা!
- ০৩. বিজনেস প্যাকেজ: বিজনেস প্যাকেজর মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ১৯৯ টাকা। এই প্যাকেজেও বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে প্রিমিয়ামের মতোই আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! তাই এক বছরে খরচ পড়ছে মাত্র ১৯৯০ টাকা!
হিসাবপাতি অ্যাপের সকল প্যাকেজের ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আজই বেছে নিন আপনার পছন্দের প্যাকেজটি! আপনার ব্যবসার জন্য শুভকামনা!