নতুন বছরে ব্যবসার আর্থিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনুন!

নতুন বছরে ব্যবসার আর্থিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনুন!

দেখতে দেখতে আরও একটি নতুন বছর এলে এলো! নতুন বছর মানেই নতুন সম্ভাবনা। আর এই নতুন বছরে নিজের ব্যবসাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে কে না চাইবে? নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে ব্যবসার আর্থিক ব্যবস্থাপনায় কিছু পরিবর্তন আনুন। ব্যবসায়ী মাত্রই জানেন, ব্যবসার সফলতা অনেকটাই নির্ভর করে সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও সেগুলো বাস্তবায়নের উপর।

আজকের এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো কীভাবে আপনি নতুন এই বছরে আপনার ব্যবসার আর্থিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে পারেন। পাশাপাশি জানবো, হিসাবপাতি (HishabPati) অ্যাপ আপনাকে এই কাজে কীভাবে সাহায্য করতে পারে।

ব্লগে যা থাকছে-

আর্থিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?

আর্থিক ব্যবস্থাপনা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি ব্যবসার অর্থনৈতিক সম্পদকে সঠিকভাবে পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিকল্পনা করা হয়। এর মাধ্যমে ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখা, বাজেট তৈরি, খরচ কমানো এবং লাভ বৃদ্ধি করার কৌশলগুলো বাস্তবায়িত হয়।

সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাই, এটি শুধুমাত্র বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নয়, বরং ছোট এবং মাঝারি ব্যবসার জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনা ব্যবসাকে লাভজনক ও টেকসই করে তোলে।

নতুন বছরে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা কেন জরুরি?

শুরুতেই বলেছি, নতুন বছর মানেই নতুন চ্যালেঞ্জ এবং নতুন সুযোগ। প্রতিটি ব্যবসার জন্য এটি একটি নতুন সূচনা, ব্যবসাকে নতুন করে মূল্যায়ন করার সুযোগ। তাই নতুন বছরে ব্যবসার আর্থিক ব্যবস্থাপনায় কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা ভালো। এটা আপনার ব্যবসার পুরোনো কৌশলগুলো নিয়ে নতুনভাবে ভাবার সুযোগ এনে দেবে। সচরাচর যে খাতগুলোতে এবং যে কারণে পরিবর্তন আনতে হয়- 

১. প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে, আপনি কেন থেমে?

বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি যেকোন ব্যবসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যেমন- হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার বা একাউন্টিং সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে অনেক সহজ এবং নির্ভুল করে তোলা সম্ভব। হিসাবপাতি’র মতো একটি অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং আর্থিক পরিকল্পনা সহজেই করতে পারবেন।

২. প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হবে

প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে আপনার ব্যবসার খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং আয় বাড়ানোর উপায় খুঁজতে হবে। নতুন ও সঠিক আর্থিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে পারবেন।

৩. অর্থনৈতিক অস্থিরতায় স্থিতিশীল থাকতে হবে

অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময়ে সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনা একটি প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন, বাজেট পরিকল্পনা এবং সঞ্চয়ের মাধ্যমে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিরাপদ করা সম্ভব।

আর্থিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার ৫টি কার্যকরী উপায়

১. সঠিক হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার ব্যবহার করুন

ব্যবসার আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখার জন্য নির্ভরযোগ্য একাউন্টিং সফটওয়্যার বেছে নিন। অ্যাকাউন্টিং অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি সহজেই-

  • দৈনিক লেনদেন ট্র্যাক করতে পারবেন।
  • বাকি বকেয়ার হিসাব রাখতে এবং বাকির মেসেজ পাঠাতে পারবেন।
  • বিভিন্ন রিপোর্ট তৈরি করতে পারবেন।
  • ট্যাক্স সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

২. ব্যবসার মাসিক বাজেট তৈরি করুন

আপনার ব্যবসার খরচ এবং আয়ের উপর ভিত্তি করে মাসিক বাজেট তৈরি করুন। এটি আপনার খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে সাহায্য করবে।

৩. আয় এবং ব্যয়ের বিশ্লেষণ করুন

আপনার ব্যবসার আয়ের প্রধান উৎস এবং খরচের প্রধান ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করুন। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন, কোন খাতে উন্নতি করা প্রয়োজন। হিসাব রাখার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এটি সহজেই করা সম্ভব।

৪. প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ান

আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন কাজ দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করা যায়। হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার ব্যবহার করে সময় এবং শ্রম উভয়ই সাশ্রয় করা সম্ভব।

৫. নিয়মিত আর্থিক পরিকল্পনা পর্যালোচনা করুন

আপনার আর্থিক পরিকল্পনা নিয়মিত পর্যালোচনা করা জরুরি। এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন, কোন পরিকল্পনাগুলো সফল হচ্ছে এবং কোনগুলো পরিবর্তন করা দরকার।

আর্থিক পরিকল্পনা থাকা বা না থাকার ফারাকটা বুঝতে হবে!

আমাদের মহল্লার মুদি দোকানদার রাশেদ ভাই, একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। যিনি একটি মুদি দোকান পরিচালনা করেন। তার ব্যবসার আয় মোটামুটি ভালো হলেও মাস শেষে তিনি বুঝতে পারতেন না যে, তার ব্যবসার প্রকৃত লাভ কত। কারণ, আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখার জন্য কোনো নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি তার কাছে ছিল না। মানে, তিনি কোন অ্যাপ বা সফটওয়্যার ব্যবহার করতেন না। বাকি বকেয়া লিখে রাখতেন খাতায়। এভাবে ভাগ্যের চাকায় চলচিলো রাশেদ ভাইয়ের ব্যবসা!

একদিন এক বন্ধুর কাছ থেকে হিসাবপাতি অ্যাপ সম্পর্কে শুনে তিনি এটি ব্যবহার শুরু করেন। ৯৯ টাকা দিয়ে হিসাবপাতি’র প্রিমিয়াম প্যাকেজ কেনেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে তিনি-

  • আয়-ব্যয়ের হিসাব সহজেই রাখতে শুরু করেন।
  • বিভিন্ন মেয়াদ বা সময়ের খরচ এবং আয়ের তুলনা করতে শুরু করেন।
  • ভবিষ্যতের জন্য বাজেট তৈরি করতে পারেন।

এভাবে ডিজিটালি হিসাব রেখে পরবর্তীতে রাশেদ ভাই দোকানের খরচ ২০% কমিয়ে লাভ বাড়াতে সক্ষম হন! এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যবসার সফলতা সম্ভব।

কেনো হিসাবপাতি অ্যাপের কথাই বলছি?

  • সহজ ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস: হিসাবপাতি অ্যাপের ইন্টারফেস অত্যন্ত সহজ এবং ব্যবহারকারী বান্ধব। আপনি খুব সহজেই এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন।
  • আয়-ব্যয়ের হিসাব ও বাকি বকেয়া: এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখতে পারবেন। এটি আপনাকে আপনার ব্যবসার আর্থিক অবস্থা বুঝতে সাহায্য করবে।
  • কাস্টমাইজ ইনভয়েস তৈরি: হিসাবপাতি অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ইনভয়েস তৈরি করতে পারবেন। রেডি ইনভয়েস টেমপ্লেট থাকায় আপনি সহজেই কাস্টমাইজ ইনভয়েস বানাতে পারবেন। এটি আপনার সময় বাঁচাবে এবং কাজকে সহজ করবে।
  • আর্থিক রিপোর্ট বা প্রতিবেদন: এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যবসার আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে পারবেন। এটি আপনাকে আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
  • ডেটা বা তথ্য সুরক্ষা: হিসাবপাতি অ্যাপ আপনার ডেটা সুরক্ষিত রাখে। আপনি নিশ্চিন্তে এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন। 

ব্যবসায় সফলতা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা

ব্যবসায় সফলতা অর্জনের জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ব্যবসায়ী আর্থিক ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে না করার কারণে ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হন। আয়-ব্যয়ের হিসাব না রাখা, বাজেট না করা এবং আর্থিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা না করার কারণে ব্যবসায় ভরাডুবিও হতে পারে। 

হিসাবপাতি অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার ব্যবসাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিন। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখতে পারবেন, ইনভয়েস তৈরি করতে পারবেন এবং আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে পারবেন। তাই, নতুন বছরে আপনার ব্যবসার আর্থিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনুন এবং সফলতার পথে এগিয়ে যান।

সহজ তিনটি ধাপে হিসাবপাতি’তে যাত্রা শুরু করুন!

  • হিসবাপাতি’তে সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই হিসাবপাতি’র ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ব্যবসার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে হিসাবপাতি অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। হিসাবপাতি’তে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্রি!

  • আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

সাইন আপ করে প্রথমেই মালিক হিসেবে আপনার কোম্পানির প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ব্যবসার প্রোফাইল সেট-আপ করুন। তারপর ইনভেনটরি থেকে শুরু করে ইউনিট, ক্রয়-বিক্রয়, বাকি বকেয়া, ইনভয়েস এবং লেনদেন সহ ব্যবসার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সেট-আপ করুন। এরপর শুরু করুন প্রতিদিনের লেনদেন আপডেট রাখার কাজ।

  • হিসাবপাতি’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

হিসাবপাতি’তে ব্যবসার হিসাব রাখা শুরু করার পরে, প্রয়োজনীয় এবং ইউনিক ফিচারগুলো ব্যবহার করতে থাকুন। যেমন- ইনভয়েস, বারকোড স্ক্যানার, ইউনিট, ব্যয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। 

হিসাবপাতি’র ব্যবহারবিধি ও ফিচারের বিস্তারিত বুঝতে ইউটিউবে বাংলায় ডেমো ভিডিও দেখুন। 

জমা খরচের ডিজিটাল খাতা- হিসাবপাতি’র ডেমো

হিসাবপাতি’র সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা থেকে শুরু!

হিসাবপাতি বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী হিসাবরক্ষণ অ্যাপ। এর সাবস্ক্রিপশন ফি মাসিক ও বাৎসরিক দুটি মেয়াদে এবং তিনটি সুলভ প্যাকেজে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

  • ০১. বেসিক প্যাকেজ: বেসিক প্যাকেজটি সম্পূর্ণ ফ্রি! মানে, আপনি সাবস্ক্রিপশন কেনার আগে ফ্রিতে অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারছেন।
  • ০২. প্রিমিয়াম প্যাকেজ: প্রিমিয়াম প্যাকেজের মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা এবং এই প্যাকেজের  বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! এতে এক বছরে খরচ পড়বে মাত্র ৯৯৯ টাকা!
  • ০৩. বিজনেস প্যাকেজ: বিজনেস প্যাকেজর মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ১৯৯ টাকা। এই প্যাকেজেও বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে প্রিমিয়ামের মতোই আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! তাই এক বছরে খরচ পড়ছে মাত্র ১৯৯০ টাকা!

হিসাবপাতি অ্যাপের সকল প্যাকেজের ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আজই বেছে নিন আপনার পছন্দের প্যাকেজটি! আপনার ব্যবসার জন্য শুভকামনা!

Search
সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
আজই আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অনলাইন বা অফলাইনে যেকোন জায়গা থেকে সহজেই আপনার দৈনন্দিন ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালনা করুন।