অনেকের স্বপ্ন থাকে, নিজের একটা ছোট ব্যবসা গড়ে তোলার। কিন্তু ব্যবসা শুরু করা থেকে এটি পরিচালনা করতে বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। ছোট ব্যবসা বলে চ্যালেঞ্জগুলো কিন্তু ছোট থাকে না! বিশেষ করে বাংলাদেশে ছোট ব্যবসা চালানো সহজ কাজ নয়। ছোট ব্যবসার সাথে জড়িয়ে থাকে বড় বড় চ্যালেঞ্জ। ছোট ব্যবসার বড় চ্যালেঞ্জ হলো- অর্থায়নের বা বিনিয়োগের সীমাবদ্ধতা, প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল দক্ষতার অভাব, প্রতিযোগিতা এবং বাজারে টিকে থাকার জন্য সঠিক পরিকল্পনার অভাব। অনেক ছোট ব্যবসায়ী এসব সামলাতে না পেরে ব্যর্থ হন। তবে, এই চ্যালেঞ্জগুলো সামাল দেয়া সম্ভব, যদি ব্যবসায়ীরা সঠিক কৌশল গ্রহণ করেন।
তাই আজকের এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো, ছোট ব্যবসার বড় চ্যালেঞ্জ গুলো কী এবং সেগুলো সামাল দিয়ে ব্যবসাকে কীভাবে সফলতার দিকে নিয়ে যাওয়া যায়।
ব্লগে যা থাকছে-
ছোট ব্যবসার বড় চ্যালেঞ্জগুলো কী কী?
১. মূলধনের অভাব এবং সমাধান
প্রত্যেক ব্যবসারই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূলধনের প্রয়োজন হয়, তবে ছোট ব্যবসাগুলোকে প্রায়ই মূলধনের অভাবে ভুগতে দেখা যায়। এবং ছোট ব্যবসার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো পর্যাপ্ত মূলধন বা বিনিয়োগের অভাব। ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়, যা অনেকের কাছেই সহজলভ্য নয়। ব্যাংক লোন, বিনিয়োগকারী, শেয়ারে ব্যবসা বা ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু সঠিক বা গোছানো পরিকল্পনা ছাড়া এই প্রক্রিয়া বেশ জটিল।
সম্ভাব্য সমাধান:
- বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও কম সুদে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার জন্য লোন প্রদান করে।
- SME উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারি নানা অনুদান ও সাপোর্ট রয়েছে, সেগুলোর খোঁজ খবর নিন। সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার প্রদত্ত ব্যবসা সহায়তা প্রকল্পগুলো সম্পর্কে জানুন।
- পেমেন্ট গ্রহণের সময়সূচী নির্ধারণ করে ক্যাশ ফ্লো ম্যানেজ করুন।
- সঠিক ব্যবসা পরিকল্পনা (Business Proposal) তৈরি করুন এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সামনে সেটা উপস্থাপন করুন।
- বিনিয়োগে তেমন সুবিধা না করতে পারলে, ছোট ছোট স্টেপে বা ধাপে ব্যবসা শুরু করুন। যাতে করে প্রাথমিক বিনিয়োগ কম লাগে এবং নিজের টাকা দিয়েই ব্যবসা বড় করা যায়।
২. মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিংয়ে ডিজিটাল উপস্থিতির অভাব
বর্তমান যুগে অনলাইন উপস্থিতি ছাড়া ব্যবসার বৃদ্ধি বেশ কঠিন। কিন্তু ছোট ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং একটি বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন ব্যবসা হিসেবে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করা সহজ নয়। তাছাড়া, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া প্রমোশন ইত্যাদি বিষয়ে অজ্ঞতা বা কম জানা অনেক সময় ব্যবসাকে পিছিয়েও দেয়।
সম্ভাব্য সমাধান:
- আপনার ব্যবসার জন্য একটি সাধারণ মানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। একটি গ্রহণযোগ্য ওয়েবসাইট আপনাকে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংকে গুরুত্ব দিন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন ও অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করুন।
- একটা সময় আপনিও অনলাইন বিজ্ঞাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। গুগল অ্যাডস এবং ফেসবুক অ্যাডস ব্যবহার করে টার্গেট অডিয়েন্স মার্কেটিং করুন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার করুন।
- স্থানীয় কমিউনিটির সাথে যুক্ত হয়ে আপনার বিজনেস নেটওয়ার্ক বাড়ান।
- প্রয়োজনে গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখুন এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে তাদের ফিডব্যাকগুলো দেখুন এবং সেগুলো কাজে লাগান।
৩. কঠোর প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হওয়া
যেকোন বিজনেস সেক্টরে ইতিমধ্যে অনেক প্রতিযোগী থাকায় নতুন ব্যবসার জন্য জায়গা করে নেয়া কঠিন। বিশেষ করে বড় কোম্পানিগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা ছোট ব্যবসার বড় চ্যালেঞ্জ। বড় কোম্পানির পাশাপাশি ছোট ব্যবসাগুলো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে কৌশলগত পরিকল্পনার মাধ্যমে। তাই এই কঠোর প্রতিযোগিতার মোকাবিলা করতে প্রয়োজন ভালো পরিকল্পনা।
সম্ভাব্য সমাধান:
- প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা কিছু করুন। ইউনিক প্রোডাক্ট বা সার্ভিস দিন। সহজ কথায়, আপনার ব্যবসায় নতুনত্ব আনুন।
- নির্দিষ্ট গ্রাহক বা কাস্টমার জোন চিহ্নিত করতে হবে। যেটাকে ব্যবসায় টার্গেট অডিয়েন্স বলে। শুরুতেই আপনার ব্যবসার নির্দিষ্ট গ্রাহক বা কাস্টমার (Target Audience) নির্ধারণ করুন। তাহলে মার্কেটিং সহজ হবে।
- অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রচারণা চালান। প্রয়োজনে ব্র্যান্ড বিল্ডিংয়ে মনোযোগ দিন।
- এজন্য আপনার পণ্য বা সেবার ইউনিক সেলিং পয়েন্ট (USP) চিহ্নিত করুন।তারপর সেই ইউএসপি ধরে প্রোডাক্ট মার্কেটিং করুন।
- গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা বা অফার দিন, যা আপনার প্রতিযোগীরা দেয় না। দাম সামান্য কম রাখাও একটা পদ্ধতি হতে পারে।
- স্থানীয় বাজার বা এলাকার মানুষের চাহিদা বুঝে পণ্য বা সেবা কাস্টমাইজ করুন। সবসময় আপডেট থাকুন।
৪. দক্ষ কর্মী খুঁজে পাওয়ার সমস্যা ও তাদের ধরে রাখা
ছোট ব্যবসার জন্য দক্ষ কর্মী খুঁজে পাওয়া এবং তাদের ধরে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বড় কোম্পানিগুলোর তুলনায় বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা কম হওয়ায় অনেকেই ছোট ব্যবসায় কাজ করতে আগ্রহী হন না। আর আগ্রহী হলেও সেখানে তারা বেশিদিন কাজ করতে চান না।
সম্ভাব্য সমাধান:
- কর্মীদের জন্য একটি চমৎকার ও ইতিবাচক কাজের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যাতে তার কর্মস্থলটিকে আপন মনে করে।
- কর্মীদের সবসময় দোষারোপ না করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বাড়ান।
- পারফরম্যান্স বোনাস এবং অন্যান্য প্রণোদনা দিয়ে কর্মীদের অনুপ্রাণিত করুন।
৫. আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও হিসাবরক্ষণে অবহেলা
ছোট ব্যবসার জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনা একটি জটিল বিষয়। অনেক সময় আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব না রাখার কারণে ব্যবসায় লোকসান হয়। এছাড়া, ট্যাক্স, লোনের কিস্তি ইত্যাদি বিষয়ে অজ্ঞতা অনেক সময় সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি ব্যবসায় নগদ অর্থপ্রবাহ (Cash Flow) নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এটি বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
সম্ভাব্য সমাধান:
- আয়-ব্যয়, বাকি বকেয়া সহ প্রতিদিনের লেনদেনের হিসাব ডিজিটালি সংরক্ষণ করুন। মানে আর্থিক লেনদেনের ডিজিটাল রেকর্ড রাখুন এবং নিয়মিত বিশ্লেষণ বা অডিট করুন। আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন- ছোট ব্যবসায় হিসাবরক্ষণ কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
- গ্রাহকদের কাছ থেকে সময়মতো বকেয়া টাকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন।
- অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করুন।
- খুব ভালো হয় যদি একজন দক্ষ অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা ফাইন্যান্স এক্সপার্টের সাহায্য নিতে পারেন।
- অবশ্যই একটি বাস্তবসম্মত বাজেট তৈরি করুন এবং সেটি মেনে চলার চেষ্টা করুন।
৬. প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলার চ্যালেঞ্জ
বর্তমান যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া ব্যবসা চালানো প্রায় অসম্ভব। কিন্তু অনেক ছোট ব্যবসায়ী প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে থাকেন, যা তাদের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রাখে। এটাও বর্তমানে ছোট ব্যবসার বড় চ্যালেঞ্জ গুলোর মধ্যে অন্যতম। ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়ীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অপরিহার্য।
সম্ভাব্য সমাধান:
- বিজনেস সম্পর্কিত সফটওয়্যার ব্যবহার করায় অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও টুলস ব্যবহার করুন, যেমন- অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদি।
- অনলাইন পেমেন্ট গ্রহণ করুন। কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেটের মতো ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করুন।
- ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন বা অন্যকে দিয়ে করুন। খুব ভালো হয় যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ও SEO সম্পর্কে কিছুটা জেনে থাকেন এবং প্রয়োগ করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং ও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার ব্যবসার রিচ বাড়ান।
- প্রযুক্তিগুলো সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট থাকুন। নতুন বিজনেস ট্রেন্ডগুলো নিয়ে ভাবুন এবং কাজে লাগানো চেষ্টা করুন।
৭. গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ
গ্রাহক সন্তুষ্টি ছোট ব্যবসার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। কিন্তু অনেক সময় পণ্য বা সেবার গুণগত মান বজায় রাখা, সময়মতো ডেলিভারি দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে ঘাটতি দেখা দেয়। মনে রাখবেন, উপরের সবগুলো সামাল দিলেও ব্যবসা হবে না, যদি গ্রাহক সন্তুষ্টি না থাকে! একজন গ্রাহক বারবার আপনার সেবা নিলে সেটিই হবে ব্যবসার সবচেয়ে বড় সাফল্য।
সম্ভাব্য সমাধান:
- আপনার গ্রাহকদের প্রত্যাশা বুঝুন এবং সেগুলো পূরণের চেষ্টা করুন। অনেক গ্রাহকের কাছে দাম কোন ব্যাপারই না, তিনি শুধু ভালো ব্যবহার চান। আবার কারো কাছে দাম কম রাখাটাই আসল কথা!
- গ্রাহকদের ফিডব্যাকগুলো গুরুত্বের সাথে নিন এবং তা কাজে লাগিয়ে পরিবর্তন আনুন।
- পণ্য বা সেবার গুণগত মান বজায় রাখুন এবং নিয়মিত উন্নতি করুন।
৮. কর এবং সরকারি নীতিমালার জটিলতা
ছোট ব্যবসার জন্য আইনি বিষয়গুলো অনেক সময় জটিল হয়ে ওঠে। লাইসেন্স, পারমিট, ট্যাক্স রিটার্ন ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্যবসার জন্য সঠিক কর ব্যবস্থা ও নিয়মকানুন মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
সম্ভাব্য সমাধান:
- ব্যবসা শুরু করার আগে সংশ্লিষ্ট আইনি প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
- একজন আইনজীবী বা কনসালট্যান্টের সাহায্য নিন।
- নিয়মিত আইনি আপডেট সম্পর্কে সচেতন থাকুন। ট্যাক্স ফাইলিং ও আইনি দিকগুলো যথাযথভাবে মেনে চলুন।
ছোট ব্যবসার বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিছু টিপস
১. সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করুন:
যেকোনো ব্যবসার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হলো সঠিক পরিকল্পনা। আপনার ব্যবসার লক্ষ্য, টার্গেট অডিয়েন্স, মার্কেট ট্রেন্ড ইত্যাদি বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখুন।
২. তাড়াহুড়ো নয়, ধৈর্য ধরে এগিয়ে যান
ছোট ব্যবসার সাফল্য রাতারাতি আসে না। ধৈর্য ধরে এবং অধ্যবসায়ের সাথে কাজ করে যান। প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে শেখার সুযোগ হিসেবে নিন।
৩. বিজনেস নেটওয়ার্কিং বাড়ান
অন্যান্য ব্যবসায়ী, গ্রাহক এবং ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদের সাথে নেটওয়ার্কিং করুন। এটি আপনার ব্যবসাকে নতুন সুযোগ ও দিকনির্দেশনা দেবে।
৪. গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মূল্য দিন
গ্রাহকরা আপনার ব্যবসার মূল চালিকাশক্তি। তাদের চাহিদা ও প্রত্যাশা বুঝে সেবা দিলে তারা আপনার ব্যবসার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবেন।
৫. নিয়মিত নিজের ব্যবসাকে মূল্যায়ন করুন
আপনার ব্যবসার উন্নতি বা অবনতি নিয়মিত মূল্যায়ন করুন। কোন দিকে উন্নতি প্রয়োজন, তা চিহ্নিত করুন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন।
ছোট ব্যবসার বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সবসময় সহজ নয়, কিন্তু অসম্ভবও নয়। সঠিক পরিকল্পনা, ধৈর্য এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আপনি এই চ্যালেঞ্জগুলো জয় করতে পারেন। মনে রাখবেন, প্রতিটি বড় ব্যবসাই একসময় ছোট ব্যবসা হিসেবেই শুরু হয়েছিল। আপনার লক্ষ্যে অবিচল থাকুন। আপনার ব্যবসার সাফল্য কামনা করছি!
ডেমো দেখে সহজ তিনটি ধাপে হিসাবপাতি’তে যাত্রা শুরু করুন!
- ১ম ধাপ- হিসবাপাতি’তে সাইন আপ করুন:
প্রথমেই হিসাবপাতি’র ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ব্যবসার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে হিসাবপাতি অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। হিসাবপাতি’তে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্রি!
- ২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন:
সাইন আপ করে প্রথমেই মালিক হিসেবে আপনার কোম্পানির প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ব্যবসার প্রোফাইল সেট-আপ করুন। তারপর ইনভেনটরি থেকে শুরু করে ইউনিট, ক্রয়-বিক্রয়, বাকি বকেয়া, ইনভয়েস এবং লেনদেন সহ ব্যবসার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সেট-আপ করুন। এরপর শুরু করুন প্রতিদিনের লেনদেন আপডেট রাখার কাজ।
- ৩য় ধাপ- হিসাবপাতি’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন:
হিসাবপাতি’তে ব্যবসার হিসাব রাখা শুরু করার পরে, প্রয়োজনীয় এবং ইউনিক ফিচারগুলো ব্যবহার করতে থাকুন। যেমন- ইনভয়েস, বারকোড স্ক্যানার, ইউনিট, ব্যয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।
হিসাবপাতি’র ব্যবহারবিধি ও ফিচারের বিস্তারিত বুঝতে ইউটিউবে বাংলায় ডেমো ভিডিও দেখুন।
জমা খরচের ডিজিটাল খাতা- হিসাবপাতি’র ডেমো
হিসাবপাতি’র সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা থেকে শুরু!
হিসাবপাতি বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী হিসাবরক্ষণ অ্যাপ। এর সাবস্ক্রিপশন ফি মাসিক ও বাৎসরিক দুটি মেয়াদে এবং তিনটি সুলভ প্যাকেজে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
- ০১. বেসিক প্যাকেজ: বেসিক প্যাকেজটি সম্পূর্ণ ফ্রি! মানে, আপনি সাবস্ক্রিপশন কেনার আগে ফ্রিতে অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারছেন।
- ০২. প্রিমিয়াম প্যাকেজ: প্রিমিয়াম প্যাকেজের মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা এবং এই প্যাকেজের বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! এতে এক বছরে খরচ পড়বে মাত্র ৯৯৯ টাকা!
- ০৩. বিজনেস প্যাকেজ: বিজনেস প্যাকেজর মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ১৯৯ টাকা। এই প্যাকেজেও বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে প্রিমিয়ামের মতোই আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! তাই এক বছরে খরচ পড়ছে মাত্র ১৯৯০ টাকা!
হিসাবপাতি অ্যাপের সকল প্যাকেজের ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আজই বেছে নিন আপনার পছন্দের প্যাকেজটি! আপনার ব্যবসার জন্য শুভকামনা!