একটি অ্যাপেই জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনার এ টু জেড!

একটি অ্যাপেই জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনার এ টু জেড!

জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনা করার সবচেয়ে জটিল কাজটি হলো, স্টক/ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এবং দৈনন্দিন লেনদেনের হিসাব রাখা। গয়না ব্যবসায় স্টক ম্যানেজমেন্ট, হিসাবরক্ষণ, কাস্টমারদের ইনভয়েস প্রদান, একাধিক ব্যবসা এবং কর্মী ব্যবস্থাপনার মতো জটিল বিষয়গুলো সামলাতে হয়। তবে আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে এই ব্যবসা পরিচালনা করা আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। একটি ভালো হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার জুয়েলারি ব্যবসা সম্পূর্ণ ডিজিটালভাবে পরিচালনা করতে পারেন। 

এই ব্লগে, আমরা জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি অ্যাপ কীভাবে আপনার কাজ সহজ করে দিতে পারে, তার এ টু জেড আলোচনা করব।

ব্লগে যা থাকছে-

ব্যবসা পরিচালনায় একাউন্টিং সফটওয়্যার কেনো জরুরি?

জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনা করতে গেলে হিসাবরক্ষণ একটি অপরিহার্য অংশ। প্রতিদিনের লেনদেন, স্টক আপডেট, বাকি বকেয়া এবং অন্যান্য আর্থিক তথ্য সঠিকভাবে ট্র্যাক করা জরুরি। ম্যানুয়ালি এই কাজগুলো করা সময়সাপেক্ষ এবং ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এখানেই একাউন্টিং সফটওয়্যার বা অ্যাপগুলো আপনার কাজকে সহজ করবে।

অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার ব্যবসার আর্থিক অবস্থা ট্র্যাক করতে পারবেন। এটি আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ‘হিসাবপাতি’ সফটওয়্যারটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। আর একটি ভালো হিসাবরক্ষণ অ্যাপ আপনার সম্পূর্ণ জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনার কাজ সহজ করে দিতে পারে। চলুন দেখি এই অ্যাপটি জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনা করতে কীভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

হিসাবপাতি অ্যাপের মাধ্যমে জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনা

একটি জুয়েলারি ব্যবসার হিসাব আপনি কাগজে কলমেও রাখতে পারেন। কিন্তু কাগজে-কলমে বা সাধারণ এক্সেল ফাইলে সব তথ্য রাখা বেশ কঠিন। এক্ষেত্রে দিনের একটি বড় সময় ডেটা এন্ট্রিতে দেয়া লাগে। এজন্য একাউন্টিং সফটওয়্যার অপরিহার্য।

১. জুয়েলারি দোকানের স্টক/ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট

জুয়েলারি ব্যবসায় স্টক ম্যানেজমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন ডিজাইন, ওজন এবং মূল্যের গয়না সামলাতে হয়। এই ব্যবসায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির গহনা থাকে। হিসাবপাতি অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার স্টক ট্র্যাক করতে পারবেন।

  • রিয়েল-টাইম আপডেট: অ্যাপটি আপনাকে রিয়েল-টাইমে স্টক আপডেট প্রদান করবে। মানে, কোন গয়না বিক্রি হলে বা নতুন গয়না যোগ করলে তা সাথে সাথে আপডেট হয়ে যাবে।
  • স্টক অ্যালার্ট: স্টক কমে গেলে অ্যাপটি আপনাকে অ্যালার্ট দেবে, যাতে আপনি সময়মতো নতুন গয়না যোগ করতে পারেন।
  • ক্যাটাগরি অনুযায়ী স্টক ম্যানেজমেন্ট: বিভিন্ন ধরনের গয়না (যেমন: সোনা, রূপা, হীরা ইত্যাদি) আলাদা ক্যাটাগরিতে ম্যানেজ করতে পারবেন।
  • স্টক/ইনভেন্টরি রিপোর্ট: মাসিক বা বাৎসরিক স্টক বা ইনভেন্টরি রিপোর্ট পাবেন, সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

২. জুয়েলারি দোকানের ক্যাশ মেমো বা ইনভয়েস ডিজাইন

জুয়েলারি ব্যবসায় কাস্টমারদের কাছে প্রফেশনাল ইনভয়েস বা ক্যাশ মেমো প্রদান করা জরুরি। এই ব্যবসায় ক্যাশ মেমো বা ইনভয়েস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। হিসাবপাতি অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি সহজেই প্রতিটি লেনদেনের জন্য কাস্টমাইজড ইনভয়েস তৈরি করতে পারবেন।

  • অটোমেটেড ইনভয়েস জেনারেশন: প্রতিটি বিক্রয়ে অটোমেটেড ইনভয়েস তৈরি হবে, যা সময় ও শ্রম বাঁচাবে।
  • কাস্টমাইজেশন সুবিধা: আপনার দোকানের লোগো, ঠিকানা এবং লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য যোগ করে ইনভয়েস কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
  • রেডি টেমপ্লেট সুবিধা: হিসাবপাতি অ্যাপে আপনি রেডি টেমপ্লেট পাবেন, সেখানে থেকে পছন্দ মতো টেমপ্লেট বাছাই করুন।
  • ডিজিটাল শেয়ারিং এবং স্টোরেজ: সব ইনভয়েস ডিজিটালি স্টোর হবে, যাতে পরে প্রয়োজনে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। আপনি চাইলেই পিডিএফ  বা ওয়ার্ড কপি ডিজিটালি শেয়ার করতে পারেন।
  • বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই ইনভয়েস জেনারেট করার  সুবিধা।

৩. বড় ব্যবসার জন্য একাধিক কর্মীকে অ্যাপে অ্যাক্সেস প্রদান

আপনার জুয়েলারি ব্যবসাটি বড় হতে পারে এবং সেখানে একাধিক কর্মী কাজ করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি সেলসম্যান বা ম্যানেজার হিসেবে একাধিক কর্মীকে অ্যাপটিতে অ্যাক্সেস দিতে পারবেন।

  • রোল-বেসড অ্যাক্সেস: হিসাবপাতি’তে আপনি ম্যানেজার ও সেলসম্যান হিসাবে ইউজর যুক্ত করতে পারবেন। বিভিন্ন কর্মীকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাক্সেস প্রদান করতে পারবেন। যেমন: সেলসম্যান শুধু বিক্রয় সম্পর্কিত তথ্য দেখতে পারবে। ম্যানেজার হিসেবে অ্যাক্সেস দিলে তিনি আলাদা তথ্য দেখতে পাবেন।

৪. চেইন জুয়েলারি শপের জন্য একাধিক ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ

যদি আপনার একাধিক জুয়েলারি শপ থাকে, তাহলে একটি অ্যাপের মাধ্যমে সবগুলো শপ একসাথে ম্যানেজ করতে পারবেন।

  • কেন্দ্রিয় ব্যবস্থাপনা: সব শপের ডেটা এক জায়গায় দেখতে পারবেন এবং আলাদাভাবে ম্যানেজ করতে পারবেন।
  • শপ অনুযায়ী রিপোর্ট: প্রতিটি শপের আলাদা রিপোর্ট জেনারেট করতে পারবেন, যা ব্যবসার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
  • ডেটা সিঙ্ক সুবিধা: ব্যবসার সকল ডেটা রিয়েল টাইমে সিঙ্ক করে কেন্দ্রিয়ভাবে সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে।

৫. দৈনন্দিন বেচাকেনা থেকে বাকি বকেয়া, সব এক অ্যাপে

জুয়েলারি ব্যবসায় বাকি বকেয়া ট্র্যাক করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। হিসাবপাতি অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি সহজেই বাকি বকেয়া ম্যানেজ করতে পারবেন।

  • বাকি বকেয়া ট্র্যাকিং: প্রতিটি লেনদেনে নগদ বা বাকি উল্লেখ করার অপশন রয়েছে। ফলে কোন কাস্টমারের কাছে কত টাকা বকেয়া রয়েছে, তা সহজেই ট্র্যাক করতে পারবেন। একিভাবে আপনার দেনা বা বাকিও ট্র্যাক করা যাবে।
  • স্বয়ংক্রিয় রিমাইন্ডার: বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য কাস্টমারকে অটোমেটেড রিমাইন্ডার পাঠানো যাবে 

৬. ব্যবসার বিভিন্ন রিপোর্ট জেনারেট করার সুবিধা

ব্যবসার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে নির্ভুল রিপোর্ট অপরিহার্য। হিসাবপাতি অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট জেনারেট করতে পারবেন।

  • সেলস রিপোর্ট: দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক বিক্রয়ের রিপোর্ট দেখতে পারবেন। কোন গয়না বেশি বিক্রি হচ্ছে, তা জানতে পারবেন।
  • স্টক রিপোর্ট: কোন পণ্যের মজুত কতটুকু আছে তা জানতে পারবেন। সাথে কোন পণ্য কিনতে হবে আর কোন পণ্য কিনতে হবে না তাও জানতে পারবেন।
  • লাভ-ক্ষতি রিপোর্ট: ব্যবসার লাভ-ক্ষতি সহজেই বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আপনাকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে। তাই, আজই হিসাবপাতি অ্যাপ বেছে নিন এবং আপনার জুয়েলারি ব্যবসাকে দিন নতুন মাত্রা!

ডেমো দেখে সহজ তিনটি ধাপে হিসাবপাতি’তে যাত্রা শুরু করুন!

  • ১ম ধাপ- হিসবাপাতি’তে সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই হিসাবপাতি’র ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ব্যবসার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে হিসাবপাতি অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। হিসাবপাতি’তে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্রি!

  • ২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

সাইন আপ করে প্রথমেই মালিক হিসেবে আপনার কোম্পানির প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ব্যবসার প্রোফাইল সেট-আপ করুন। তারপর ইনভেনটরি থেকে শুরু করে ইউনিট, ক্রয়-বিক্রয়, বাকি বকেয়া, ইনভয়েস এবং লেনদেন সহ ব্যবসার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সেট-আপ করুন। এরপর শুরু করুন প্রতিদিনের লেনদেন আপডেট রাখার কাজ।

  • ৩য় ধাপ- হিসাবপাতি’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

হিসাবপাতি’তে ব্যবসার হিসাব রাখা শুরু করার পরে, প্রয়োজনীয় এবং ইউনিক ফিচারগুলো ব্যবহার করতে থাকুন। যেমন- ইনভয়েস, বারকোড স্ক্যানার, ইউনিট, ব্যয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। 

হিসাবপাতি’র ব্যবহারবিধি ও ফিচারের বিস্তারিত বুঝতে ইউটিউবে বাংলায় ডেমো ভিডিও দেখুন। 

জমা খরচের ডিজিটাল খাতা- হিসাবপাতি’র ডেমো

হিসাবপাতি’র সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা থেকে শুরু!

হিসাবপাতি বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী হিসাবরক্ষণ অ্যাপ। এর সাবস্ক্রিপশন ফি মাসিক ও বাৎসরিক দুটি মেয়াদে এবং তিনটি সুলভ প্যাকেজে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

  • ০১. বেসিক প্যাকেজ: বেসিক প্যাকেজটি সম্পূর্ণ ফ্রি! মানে, আপনি সাবস্ক্রিপশন কেনার আগে ফ্রিতে অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারছেন।
  • ০২. প্রিমিয়াম প্যাকেজ: প্রিমিয়াম প্যাকেজের মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ৯৯ টাকা এবং এই প্যাকেজের  বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! এতে এক বছরে খরচ পড়বে মাত্র ৯৯৯ টাকা!
  • ০৩. বিজনেস প্যাকেজ: বিজনেস প্যাকেজর মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি মাত্র ১৯৯ টাকা। এই প্যাকেজেও বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনে প্রিমিয়ামের মতোই আছে ১৭% ডিসকাউন্ট! তাই এক বছরে খরচ পড়ছে মাত্র ১৯৯০ টাকা!

হিসাবপাতি অ্যাপের সকল প্যাকেজের ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আজই বেছে নিন আপনার পছন্দের প্যাকেজটি! আপনার ব্যবসার জন্য শুভকামনা!

Search
সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
আজই আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অনলাইন বা অফলাইনে যেকোন জায়গা থেকে সহজেই আপনার দৈনন্দিন ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালনা করুন।